ইতিহাসটা বদলাতে পারলো নারী ক্রিকেটাররাও। এমনিতেই হয়তো ভুরি ভুরি ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বসে পাকিস্তান; কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই কেন যেন উল্টে যায় চিত্রটা। ভারতকে কোনোভাবেই হারাতে পারে না তারা। পুরুষ বিশ্বকাপে তো পারেই না। এবার নারী বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। ভারতের নারীদের হারাতে পারেনি পাকিস্তানের নারীরা। উল্টো হেরেছে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
Advertisement
তবে সরফরাজদের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হারের বদলাই নিল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। পাকিস্তানকে ৭৪ রানে অলআউট করে দিল মিতালি অ্যান্ড কোং। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে একতার (১৮ রানে ৫ উইকেট) বোলিং দাপটের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো পাকিস্তানের ব্যটসম্যানরা। এ’নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেন ভারতীয় নারী ক্রিকেটাররা।
ভারতের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মাত্র এক রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তানের নারীরা কখনই ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে থিতু হতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। অধিনায়ক সানা মির সর্বোচ্চ ২৯ এবং নাদিয়া খান ২৩ রান করেন। এছাড়া আর কেউই দু’অঙ্কের ছোঁয়া পাননি। একতা বিস্ত একাই পাঁচ উইকেট নেন।
Advertisement
রোববার ডার্বির কাউন্টিগ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ভারতীয় টপ অর্ডার দুরন্ত ফর্মে থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছন্দপতন ঘটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের নায়ক স্মৃতি মান্ধানাকে মাত্র ২ রানে প্যাভিলিয়ানে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। এরপর ধীরে চলো নীতি নিয়ে দলকে টানেন পুনম রাউত। তিনি ৪৭ রানে আউট হলে আবার চাপের মুখে পরপর উইকেট হারায় ভারতীয় দল।
প্রথম দু’ম্যাচে রান পেলেও অধিনায়ক মিতালি (৮) এদিন ব্যর্থ। একসময় ভারত দেড়শো রানের গণ্ডি পার হতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। যদিও সপ্তম উইকেটে সুষমা ভার্মা ও ঝুলন গোস্বামীর ৩৪ রানের জুটিতে ভর করে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। পাকিস্তানের পক্ষে নাসরা সান্ধু ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন।
আইএইচএস/
Advertisement