খেলাধুলা

মেসি সম্ভবত আমার আমন্ত্রণপত্রটা হারিয়ে ফেলেছিল : ম্যারাডোনা

ফুটবলে বিশ্বের অনেক রথি-মহারথিরা উপস্থিত ছিলেন মেসির জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে। নেইমার, সুয়ারেজ থেকে শুরু করে বর্তমান ফুটবলারদের সঙ্গে সাবেক ফুটবলার কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ কিংবা স্যামুয়েল ইতোরাও ছিলেন মেসির আমন্ত্রিত অতিথি। শুধু তাই নয়, মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থরাও ছিলেন তার বিয়েতে।

Advertisement

অথচ মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানটিতে কেন যেন কিছুর অপূর্ণতা ছিল। একজনকে খুব মিস করছিলেন সবাই। কেউ কেউ তাকে আর্জেন্টিনার ‘ফুটবল ঈশ্বর’ নামেও ডাকেন। তিনি দিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসির বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় তার নাম না দেখে সবাই অবাক হয়েছেন। বিশ্ব মিডিয়ায়ও এ নিয়ে জোর গুঞ্জন, কেন মেসি ম্যারাডোনাকে দাওয়াত দেননি।

অথচ মেসি তার কত প্রিয়! নিজের ছেলের মতো দেখেন। মাঝে সাজে একটু সমালোচনা করেন বৈকি। সেটা হয়তো প্রিয় শিষ্যকে সোজা পথে রাখার জন্যই। তবু মেসি বলতেই অজ্ঞান। তিনিই কি না পেলেন না আমন্ত্রণপত্র।

বিশ্ব মিডিয়াও অপেক্ষায় ছিল এ নিয়ে ম্যারাডোনা কোনোভাবো মুখ খোলেন কি না। অবশেষে মুখ খুললেন ফুটবলের রাজপুত্র। তবে ক্ষোভ-আক্ষেপ কিছুই ঝাড়লেন না। উল্টো প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মেসিকে। সঙ্গে একটু খোঁচা দিয়ে রাখলেন। বললেন, ‘মেসির বিয়েতে আমার আমন্ত্রণপত্রটা সম্ভবত কোথাও হারিয়ে ফেলেছে সে। তবে তার সম্পর্কে আমার অনুভূতি কখনও পরিবর্তন হবে না।’

Advertisement

রাশিয়া থেকে একটি সংবাদ মাধ্যমকে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘আমি ওকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আশা করি আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যবান সন্তানের বাবা হবে সে। সে জানে, আমি তাকে কতটা ভালোবাসি।’

মেসির প্রশংসা করে ম্যারাডোনা বলেন, ‘সে দারুণ একজন স্পোর্টসম্যান। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।’

মেসির সম্পর্ক শেষ করেই ম্যারাডোনা চলে গেলেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। সবাই জানে ফিদেল ক্যাস্ত্রো তার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব। ক্যাস্ত্রোকে তিনি নিজের অভিভাবক মনে করতেন। এখন তার আরেক প্রিয় ব্যক্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেল। তিনি ভ্লাদিমির পুতিন। কনফেডারেশন্স কাপ চলাকালীনই পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা করছেন ম্যারাডোনা।

রাশিয়া প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি বলেন, ‘তিনি তো আমার আদর্শ। আর্জেন্টিনায় আমার ঘরে দুটি ছবি পরপর টানানো আছে। একটি ফিদেল ক্যাস্ত্রোর এবং অন্যটি ভ্লাদিমির পুতিনের।’

Advertisement

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ম্যারাডোনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তো মনে হয় যেন একটি কার্টুনের চরিত্র।’

আইএইচএস/জেআইএম