সুইজারল্যান্ডের সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি হিসাবধারীদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই দাবি করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এই বছরই সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাংলাদেশকে গরীব দেশ বলা হয় অথচ বাংলাদেশের মানুষ সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছে। এই টাকাগুলো কাদের, এর নাম আমাদের জানা দরকার।’এই সরকার যদিও অবৈধ তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। আমি তাদের কাছেই দাবি করছি, এই সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, কত টাকা রেখেছে তাদের নাম-ধামসহ হিসাবপত্র প্রকাশ করুন।’
গুলশানের কার্যালয়ে দলে ঘোষিত ‘প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ’অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। শনিবার থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এই কর্মসূচি চলবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১০ টাকার বিনিময়ে সদস্য রশিদে স্বাক্ষর করে নিজে সদস্যপদ নবায়ন করেন। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের সদস্যপদ নবায়ন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মোট ৬ জন নতুন সদস্য সদস্যপদ সংগ্রহ করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘১০ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এই ১০ বছর যাবৎ দেশ গণতন্ত্রহীন অবস্থায় আছে। সব প্রতিষ্ঠানকে তারা অচল করে দিয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় দুর্নীতি। দেশের মানুষ এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাই।’
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় উল্লেখ করে খালেদা বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। শুধু তাই নয়, পুলিশও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। দেশের পুলিশ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে চায় কিন্তু তাদেরকে বাধ্য করা হয় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজ করতে, তাদেরকে হয়রানি করা হয়।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, আবদুল মান্নান, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, আবদুল কাইয়ুম, কবীর মুরাদ, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, তাহমিনা রুশদীর লুনা, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সানাউল্লাহ মিয়া, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান,শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, আখতার হোসেন, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, শাইরুল কবির খান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এমআরএম
Advertisement