প্রিয় মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখা ও কথা বলার আগ্রহ কারই বা কম থাকে! তবে ভালোবাসাটা যখন কোন ক্রিকেটারকে ঘিরে, তখন তার সাথে একটু সাক্ষাতের ইচ্ছা পূরণে দূরত্ব কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
Advertisement
প্রায় চারশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রাজীব ওয়াহিদ রন নামের এক ভক্ত পৌঁছে গেছেন তার পছন্দের ক্রিকেটার মোস্তাফিজের কাছে। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে মোস্তাফিজের কাছে পৌঁছাতে হয়েছে এই ভক্তকে। অনেক দূর থেকে আসা ভক্তকে মোস্তাফিজও সময় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মোস্তাফিজের পরিবারের সাথে দুটা রাতও কাটিয়েছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের চামাগ্রাম থেকে আসা মৃত. এনামুল হক মোল্লার ছেলে রাজীব ওয়াহিদ রন। তিনি সেখানকার বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সেলস সেন্টারের ম্যানেজার পদে চাকরি করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামে মোস্তাফিজের বাড়িতে পৌঁছান এই ভক্ত। ছিলেন মোস্তাফিজের ছোট চাচা আব্দুর রহমান গাজীর বাড়িতে।
পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দেখা করেন মোস্তাফিজের সাথে। এটি তার প্রিয় ক্রিকেটারের সাথে প্রথম দেখা। মোস্তাফিজও এত দূর থেকে আসা ভক্তকে নিরাশ করেননি। তার সাথে ৩০ মিনিট সময় কাটান গল্প করে। মোস্তাফিজ ও তার পরিবারের সদস্যরাও বেশ আনন্দিত এমন পাগলা ভক্তকে কাছে পেয়ে।
Advertisement
শনিবার নিজ বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাজীব ওয়াহিদ। মোস্তাফিজের বাড়ি ছাড়ার আগে জাগো নিউজকে এই ভক্ত জানান, ‘প্রিয় মানুষ, প্রিয় ক্রিকেটারকে কাছে পেয়ে অনুভূতি প্রকাশের নয়। মোস্তাফিজ ভাইয়া আমার পাশে বসলেন, তাকালেন, হাসলেন। সবকিছুই স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ দুই বছর ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে একে একে ফিজের সব রিলেটিবের সাথে দারুণ সম্পর্ক হয়েছে। ফিজের প্রায় সব রিলেটিবরা এখন আমাকে চেনে। মোস্তাফিজের ছোট চাচা আব্দুর রহমান গাজী আমাকে তার ছেলের মত দেখেন। তার ছেলের নাম সজীব আর আমার নাম রাজীব। এখানেই দুই রাত থেকেছি। এখন চলে যাচ্ছি। মনটা খুব খারাপই লাগছে। এর আগেও একবার এসেছিলাম তবে তখন মোস্তাফিজের সাথে দেখা হয়নি। এবারই প্রথম দেখা হলো।’
মোস্তাফিজের মেজ ভাই মোকলেসুর রহমান পল্টু জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজীব নামের ছেলেটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মোস্তাফিজের সাথে দেখা করতে এসেছে। দেখা হয়েছে। একটি উপহারও দিয়েছে মোস্তাফিজকে।`
ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে কাটাতে মোস্তাফিজ এখন গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়ায় নিজের বাড়িতে অবস্থান করছেন। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িতেই থাকবেন এই কাটার মাস্টার।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/আইএইচএস/জেআইএম