চীনের কাছে ২০ বছর আগে হংকংকে হস্তান্তর করে গেছে ব্রিটিশরা। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ২০ বছর পূর্তি উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য প্রথমবারের মতো হংকং সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানকার বেইজিং বিরোধীরা গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ করলেও শি’র সফরকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন করেছে হংকং। সাজানো হয়েছে সারা শহর। খবর বিবিসির।
Advertisement
এরকম পরিস্থিতির মধ্যেই প্রধান নির্বাহীর পদে হংকংয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে নির্বাচিত নেতা ক্যারি লামকে শপথ পাঠ করিয়েছেন শি। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। কড়া নিরাপত্তা ব্যব্স্থার মধ্যে যৌথভাবে উড়িয়েছেন উভয়দেশের পতাকা।
কিন্তু তারপরেও গণতন্ত্রের দাবিতে বেইজিং বিরোধিরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের অনেককে আটকের পর আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নতুন করে আবার অনেককেই আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলে শহরের অনেক গুরুত্বর্পূ জায়গা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রো-ডেমোক্রেসি পার্টির ডেমোসিস্টো বলছেন, তাদের দলের পাঁচজন সদস্য এবং সোশ্যাল ডেমোক্রাটদের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমব্রেলা প্রোটেস্ট মুভমেন্টের নেতা জসুয়া ওয়াংকে গ্রেফতারের তথ্যও জানান তিনি।
বিবিসির হংকং প্রতিনিধি জুলিয়ানা লিউ শনিবার এক টুইট বার্তায় লেখেন, সেখানে পুলিশের সঙ্গে জনতার দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয় ব্রিটেন। সে সময় থেকে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ অনুযায়ী হংকং শাসন করতে সম্মত হয় বেইজিং। শহরটির নিজস্ব আইনি ব্যবস্থা, সীমিত গণতান্ত্রিক চর্চা এবং সমবেত হওয়ার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের মতো কিছু অধিকারের অনুমোদন দেয় বেইজিং।
তবে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা নেই। চীনের অধীনে এক হাজার দুইশ জনের একটি কমিটি তাকে নির্বাচিত করেন। গত নির্বাচনে প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন ক্যারি লাম। তিনি বেইজিংপন্থী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ আছে, চীনের সমর্থনে প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন ক্যারি। ১ জুলাই শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাতে শপথ পাঠ করিয়েছেন।
কেএ/এমএস
Advertisement