মালয়েশিয়ায় ৫১ অবৈধ শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাতে কুয়ালালামপুরের পেটালিং জায়া ডরমিটরিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
Advertisement
ইমিগ্রেশন পুলিশের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তাফার আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ২৩৯ জনের কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫১ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। অভিযানের পর মুস্তাফার আলী সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিক আসবাবপত্র-প্লাস্টিক উৎপাদন কারখানাগুলোতে কাজ করছিলেন। আমরা দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এ অভিযান চালিয়েছি।
তিনি বলেন, ই-কার্ড (প্রযোজ্য কার্ড) নিবন্ধনের তারিখ ৩০ জুন শেষ হয়েছে। পারমিট ছাড়া কর্মরত শ্রমিকদের ধরতে এখন থেকে প্রতিদিনই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
আটক মিয়ানমারের এক নারী কর্মী দাবি করেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তার নিয়োগকর্তা তাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
এ দিকে দ্য মাস্টার বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া (এম বি এ এম) সরকারের কাছে ই-কার্ড করার সময় ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং ধীরগতি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে সহজ ও দ্রুত ই-কার্ড করতে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টকে তারা সহযোগিতা করবে। তারা আশা করে ই-কার্ড করার প্রক্রিয়া সহজ করা হলে নিয়োগকর্তারা অবৈধ কর্মীদের ই-কার্ড করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
উল্লেখ্য ই-কার্ড করার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে কর্মীদের নিয়ে ইমিগ্রেশনে যেতে হয়, তখন কোম্পানির আয়-ব্যয়সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হয়। এ ছাড়া ইমিগ্রেশনের ধীরগতির কারণে নিয়োগকর্তারা ই-কার্ড করতে উৎসাহিত হন না।
অনেক কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা ই-কার্ড করার জন্য ৫শ থেকে ১ হাজার রিঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ মালয়েশিয়া সরকার ই-কার্ড ফ্রি দিচ্ছে।
Advertisement
মালয়েশিয়া বৈধভাবে কাজ করার সরকারি স্বীকৃতির একটি প্রক্রিয়া ই-কার্ড। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের জন্য এটি স্বীকৃতি। এটি করার পর অবস্যই পাসপোর্ট করতে হবে এবং রিহায়ারিং কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এনএফ/এমএস