বিনোদন

অন্ধকার স্মৃতি ভুলে বলিউডে হাতছানি শ্বেতার

দেহব্যবসার অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, ক্যারিয়ারে কোন গতি করতে না পেরেই একান্ত পেটের দায়ের তাঁকে শরীর বেচতে হয়েছে৷ কিন্তু, মধুচক্রে জড়িয়েই ফের লাইমলাইটে উঠে আসা শ্বেতা এবার ফের বলিউডি ফিল্মে পা রাখতে চলেছেন৷ অন্তত পরিচালক হনশল মেহেতার কথা থেকে তেমনটাই প্রমাণিত৷ সম্প্রতি এই বিখ্যাত পরিচালক ট্যুইট করে জানিয়েছেন, তিনি খুব তাড়াতাড়িই তাঁর ছবিতে শ্বেতাকে কাজের সুযোগ দেবেন৷ এমনকি ‘মাকড়ি’ ছবিতে শ্বেতার অভিনয়ের প্রসংশাও করেন হনশল৷গত ৩১ অগস্ট হায়দরাবাদে এক মধুচক্রের আসর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্বেতা৷ এরপরেই শ্বেতা বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম৷ কারণ আমার কাছে টাকা ছিল না৷ আমার উপরেই আমার পরিবারের দায়িত্ব ছিল৷ এছাড়াও আমার অন্য কিছু জরুরি কাজও ছিল৷ সমস্ত দরজা বন্ধ ছিল৷ আর লোকেরা টাকা কামানোর জন্য আমায় এই কাজ করার উসকানি দেয়৷ আমার কাছে টাকা উপার্জনের আর কোন বিকল্প রাস্তা ছিল না৷ তাই আমিও এই কাজে জড়িয়ে পড়ি৷ তবে, এমন আমি একা নই, আরও অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন৷ যাদের এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে’৷২০০২ সালে ‘মাকড়ি’ ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিয়ন করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান শ্বেতা৷ এছাড়াও ‘ইকবাল’ ছবিতেও অসাধারণ অভিনয় করেন৷ ২০০৬ সালে ‘ডরনা জরুরী হ্যায়’ ছবিতেও কাজ করেন তিনি৷ এছাড়াও তেলেগু ছবিতেও নায়িকার ভূমিকায় দেখা যায় শ্বেতাকে৷

Advertisement