জাতীয়

পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স কমল

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে অপরিবর্তিত থাকছে উৎসে কর হার। ফলে আগামী অর্থবছর থেকে রফতানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে কর দিতে হবে পোশাক শিল্প মালিকদের।

Advertisement

ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মেডিটেশন সেবায়, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে। সোলার প্যানেলের আমদানি শুল্ক গত বছরের মতো রাখা হয়েছে। এছাড়া ভোক্তাদের স্বার্থে মসলাজাতীয় পণ্যের ট্যারিফ মূল্য বহাল রাখা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনার ওপর সমাপনী বক্তব্যে এসব প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাতে উৎসে কর ১ শতাংশ বহাল থাকবে। তবে সবুজ কারখানার ক্ষেত্রে আয়কর হার ১০ শতাংশ এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। ১ জুন বাজেট ঘোষণার সময় পোশাক শিল্পের কর্পোরেট কর ১৫ শতাংশ এবং সবুজ কারখানার জন্য ১৪ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় মেডিটেশন সেবার ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়। সেটিকে আগামী ২ বছরের জন্য অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

এছাড়া কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং তার যন্ত্রাংশকে ভ্যাট অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা, জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রজ্ঞাপন বহাল, সফটওয়্যার আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি, প্লাস্টিক ও গ্লাস ফাইবার নির্মিত এলপিজি কন্টেইনার আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের স্বার্থে লৌহ নির্মিত এলপিজি সিলিন্ডার আমদানিতে ভ্যাট বহাল রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সোলার প্যানেল আমদানির শুল্ক চলতি বছরের মতো রাখার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সোলার প্যানেল তৈরি শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও এক্ষেত্রে আমরা আমদানি নির্ভর। এই বাজেটে প্রস্তাবিত অধিক হারে সোলার প্যানেলের উপর যে আমদানি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল সেটি বাদ দেয়ার প্রস্তাব করছি।

এছাড়া সিগারেটের কর কাঠামো নির্ধারণের নতুন এসআরও জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া মরিচ,  হলুদ, ধনিয়া জাতীয় গুড়া মসলার ট্যারিফ মূল্য বহাল রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সব শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থকে তুচ্ছ করে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে ত্যাগ স্বীকার না করে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো দেশই উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল হতে পারেনি। দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদেরও একইভাবে ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে উঠে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

Advertisement

এমএ/জেডএ