বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল হমিদ একই সঙ্গে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বেতনভূক্ত সাঁতারের কোচও। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে থাকলেও তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, কোরিয়ান কোচ পার্ক তেগুনকে অসহযোগিতা ও সাঁতারুদের নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
অভিযোগ করেছেন জাতীয় সাঁতারুরাই। ফেডারেশনের সভাপতি এবং নৌবাহিনী প্রধান বরাবর সাঁতারুদের লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর ফেডারেশনও নড়েচড়ে বসেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মো. রফিজ উদ্দিন রফিজকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন-ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া এবং সদস্য নিবেদিতা দাস। গত ১২ থেকে ২২ মে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী সলিডারিটি গেমস। ওই গেমসের ক্যাম্পে থাকা সাঁতারুরাই লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতির কাছে।
সাঁতারুদের অভিযোগ-অনুশীলনের সময় তিনি অসহযোগিতা করতেন। ঠিকমতো সময়ও দিতেন না। অনুশীলন চলাকালীন সাতারুদের উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে কিছু নেতিবাচক কথা বলে নিরুৎসাহিত করতেন। পুলে অনুশীলন চলার সময় তিনি এসি রুমে বসে টিভি দেখে, পত্রিকা পড়ে সময় কাটাতেন। সহকারী কোচ; অথচ প্রধন কোচ পার্ককে কোন রকম সহযোগিতা করতেন না।
Advertisement
‘এ সব বিষয় আমরা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের বলেছি এবং প্রতিকার চেয়েছি। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা সভাপতি মহাদয়কে জানিয়েছি’- বলেছেন এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।
এক মাসের বেশি সময় আগে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এখনো কমিটি কাজ শেষ করতে পারেনি। ‘আমরা কাজ করছি। আশা করছি পরবতী ইসি সভার আগেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো’- বলেছেন কমিটির সদস্য নিবেদিতা দাস। আরেক সদস্য সেলিম মিয়া বলেছেন, ‘আসলে কী ঘটেছে তা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছি। ঘটনা জানার জন্য কোচ এবং সাঁতারুদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো।’
আব্দুল হামিদ অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, ‘আমিও জেনেছি এরকম কিছু অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে। তবে এ সব কিছু ভিত্তিহীন। আমি ঠিকমতোই অনুশীলন করাই। হতে পারে কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
আরআই/আইএইচএস/পিআর
Advertisement