অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার অপহৃত ফল ব্যবসায়ী আবদুল জলিলকে (৪৮) গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করা হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে আবু নাইম মো. সারোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়।আটকরা হলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে আবু নাইম মো. সারোয়ার হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী শাহানা বেগম (৩০) ও বল্লমঝাড় ইউনিয়নের টেংগরজানি গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে খোকন মিয়া (৩০)। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কর্ত্তিমারী গ্রামের আবদুল জলিল পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। লিচু বিক্রির জন্য কিছু লিচু নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধায় আসেন। পরে শাহানা বেগম অভিনব কায়দায় ফল ব্যবসায়ী জলিলকে স্বামী পরিচয় দিয়ে শহরের মানুষকে ধোকা দিয়ে আবু নাইম মো. সারোয়ার হোসেন ও খোকন মিয়ার সহযোগিতায় কৌশলে তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে আটক করে রাখেন। সেখানে তার উপর অত্যাচার নির্যাতনের এক পর্যায়ে মুক্তিপণ হিসেবে আবদুল জলিলের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল জলিলকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।অমিত দাশ/এমজেড/পিআর
Advertisement