ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছর রাঙামাটিতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের বড়ই অভাব। সম্প্রতি পাহাড়ধসের কারণে এ শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
দেখা গেছে, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স ও হলিডে স্পট, ডিসি বাংলো, পলওয়েল লাভপয়েন্ট স্পট ও সুখী নীলগঞ্জসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। স্থানীয় কিছুসংখ্যক তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরকে চোখে পড়লেও বাইরের তেমন কেউ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড়ধসের কারণে এবার রাঙামাটি ঈদ ভ্রমণ বাতিল করতে হয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের। রাঙামাটি সরকারি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, পর্যটন কমপ্লেক্সে এবার বুকিং হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম। এক কথায় এবার পর্যটন ব্যবসায় ধস বললে ভুল হবে না।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শুনে অনেক বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। গত বছর এ দিনে পর্যটন মোটেলে সিট বুকিং দিতে না পেরে অনেক পর্যটক বাসে রাত কাটিয়েছেন। কিন্তু এবার পাহাড়ধসের কারণে রাঙামাটিতে পর্যটকশূন্যতা দেখা দিয়েছে।
সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. রমজান আলী বলেন, গত বছর প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়েছিল ঝুলন্ত সেতু এলাকায়। কিন্তু এ বছর পর্যটকশূন্য বললেই চলে।
Advertisement
রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল প্রিন্সের মালিক নেছার আহম্মেদ বলেন, গত বছর শতভাগ ব্যবসা হয়েছিল। এবার তা ৩০ ভাগে নেমেছে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে কিছুদিন পর বাইরের লোকজন আসার সম্ভাবনা আছে।
শহরের রিজার্ভ বাজারের আবাসিক হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ সিদ্দিক বলেন, এবার রাঙামাটিতে পর্যটন ব্যবসায় একেবারে ধস নেমেছে। প্রতি বছর আমাদের সবগুলো রুম আগেভাগে বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এবার ঈদে বাইরের লোক খুব একটা আসেনি।
এমআরএম/পিআর
Advertisement