লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
Advertisement
তার নিখোঁজের খবরে শোকে মূহ্যমান পরিবারের সদস্যদের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কান্নার রোল দেখা যায়।
বাড়িতে এসে জড়ো হন স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশীসহ অসংখ্য মানুষ। সবার মাঝেই উৎকণ্ঠা তার লাশ মিলবে কি-না।
Advertisement
পরিবারের সদস্যরা জানান, ঈদে ছুটি মিলবে না। তাই রমজানেই বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান ২৬ রমজান। ঈদের দিন রাত ১০টায় সর্বশেষ স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। জানতে চান স্ত্রী খাওয়া দাওয়া করেছেন কিনা।
সকালে খবর আসে তার নিখোঁজের। এরপর থেকেই বার বার মুর্চা যাচ্ছেন জেসমিন।
২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান নেই। ১০ ভাই ৪ বোনের মধ্যে নিখোঁজ সুমন ১২তম।
নিখোঁজ সুমন মিয়ার বড় ভাই আশিক মিয়া কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
Advertisement
তিনি জানান, তারা খবর পেয়েছেন তার ভাই ডিউটিতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান। খবর পেয়ে তারা সুমন মিয়ার অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সুমন চোরাচালান ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তিনি বলেন, আমরা ভাই-বোন সবাই অস্থির অবস্থায় রয়েছি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমএএস/পিআর