রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর দাবি মিথ্যে ও মূল্যহীন : রিজভী

‘শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন দাবিকে মিথ্যে ও মূল্যহীন উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এবারের ঈদ দেশের মানুষের জন্য শোক ও কান্নাতে পরিণত হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করেছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ঈদের প্রাক্কালে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতে সরকারি উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ঈদে যানজটে ঘরমুখী মানুষের নাকাল অবস্থায় সরকারের কোনো সার্ভিসেই ছিল না, তবে যোগাযোগমন্ত্রীর লিপসার্ভিসের কোনো কমতি ছিল না।

তিনি বলেন, এর উপর খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সরকার ভিজিএফ কার্ডে চাল দিতে পারেনি। ঢাকাসহ দেশব্যাপী চালের দাম অত্যাধিক বেশি। স্বল্প আয়ের মানুষের নিকট তা দুষ্প্রাপ্য।

Advertisement

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে নিরবে নয় বরং প্রকাশ্যেই দুর্ভিক্ষের আগ্রাসন ধেয়ে আসছে। শান্তি কেবল ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মনে। দেশের সাধারণ মানুষের মন নিরানন্দ বেদনায় ভারাক্রান্ত, অনাহার-অর্ধাহারে বিপর্যস্ত।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বাংলাদেশে আবার জেগে উঠেছে, হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কোনদিক দিয়ে যে জেগেছে তা জনগণ জানে না। জনগণ শুধু শাসকগোষ্ঠীকেই জেগে উঠতে দেখেছে, যা এদেশে কখনোই কেউ প্রত্যক্ষ করেনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের জাগ্রত ব্যবস্থাপনায় কিভাবে শেয়ারবাজার থেকে লক্ষ কোটি টাকা পকেটে চলে যায়, কিভাবে সরকারি ব্যাংকগুলো শূণ্য হয়ে যায়, রাজকোষের টাকা কিভাবে হাওয়ায় উড়ে যায়?

তিনি আরও বলেন, বিএনপিই এদেশে সূচনা করেছিল জনশক্তি রফতানি। সেই জনশক্তি রফতানি এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। যেসব দেশ আমাদের জনশক্তি আমদানি করে সেই সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সেই সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। যাদের রেমিটেন্স আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দেশের রেমিটেন্স এবার ১৭ শতাংশ কমে গেছে।

Advertisement

ঈদের দিনে প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ঠিকই বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, প্রথমবারের বাকশালে গুম, খুন আর বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ যে মর্যাদা অর্জন করেছিল সেটি বর্তমান দ্বিতীয়বারের বাকশালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এমএম/আরএস/পিআর