ঈদ আনন্দে বোতল বাড়ি এক নজর দেখতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজলোর সীমান্তবর্তী চন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নওদাবাস গ্রামের শিক্ষক দম্পতি রাশদেুল আলম ও আসমা খাতুনের বাড়িতে।
Advertisement
ঈদের প্রথম দিন থেকে দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে বোতল বাড়ি দেখতে বিনোদনপ্রেমী পরিবারগুলো ওই বাড়িতে ভিড় জমান। শহর জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে, শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা পরিবারগুলো ব্যতীক্রমি এ বাড়ি দেখে আনন্দে মেতে উঠেন।
তরুণ-তরুণীসহ সকল বয়সী মানুষের ঢলে বোতল বাড়ি সত্যিই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কেউ বন্ধুদের নিয়ে কেউবা বাবা মায়ের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বোতল বাড়ির কাজ এখনো সম্পন্ন না হলেও দর্শনার্থীদের এমন ভিড়ে ওই গ্রামের মানুষজন হতবাক। ঈদ আনন্দে বোতল বাড়ি দেখতে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে লাখো মানুষ ছুটে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বোতল বাড়ি ঘিরে বসেছে বিভিন্ন দোকান পাঠ। কেনা বেঁচা চলছে তুমুল। মানুষের আনন্দের শেষ নেই। চন্দ্রপুর বাজারের মোড়ে মানুষের সুবিধার্থে একজন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সাইকেল ও মটরসাইকেল গ্যারেজ বসেছে ওই বাড়ির পাশেই।
Advertisement
দর্শনার্থী সাংবাদিক তিতাস আলম বলেন, স্বপরিবারে বোতল বাড়ি দেখতে এসে বোতল বিনোদনে পড়েছি। মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। বাড়িটি দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। বোতল বাড়ি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশে প্রথম প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক দম্পতি। ওই দম্পতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সীমান্তর্বতী প্রত্যন্ত নওদাবাস গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন তৈরি করছেন বাড়িটি।
১৭শ স্কয়ার ফুট বাড়িটি তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাড়িটি তৈরিতে কোনো ইটের ব্যবহার করা হয়নি। আর্কষণীয় ওই বাড়ি দেখতে দূর-দূরান্তরে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
বাড়ির মালিক শিক্ষক রাশেদুল আলম (৩৩) বলেন, ঈদের আনন্দে বিভিন্ন জেলা থেকে লাখেরও বেশি মানুষ বাড়িটি দেখতে এসেছে। অর্থের সংকটের কারণে বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারিনি। দ্রুত কাজ শেষ করব বলে আশা করছি।
Advertisement
কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫ নং চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, বোতল বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে অসংখ্য মানুষ ভিড় লক্ষণীয়। বাড়ি দেখতে আসা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এফএ/পিআর