আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প-মোদি সাক্ষাৎ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। শনিবার ওয়াশিংটনে পা রাখেন মোদি। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

Advertisement

ওভাল অফিসে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এরপর যৌথ সাংবাদিক বিবৃতি দেন তারা। সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকেই অগ্রাধিকার দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত দু’দেশই সন্ত্রাসের ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে। তাই সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই আমাদের মূল লক্ষ্য, বিশেষত কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদ। আপসের প্রশ্নই ওঠে না। দক্ষ হাতে সন্ত্রাসের মোকাবেলা করতে দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। আগামী মাসে জাপানি নৌসেনাদের সঙ্গে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে মহড়া দেব আমরা। ভারত যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’

সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মৌলবাদ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদিও। এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর বলেছেন, দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

সন্ত্রাসদমন নিয়ে গত বছর বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। ২৬/১১ সহ ভারতে একাধিক নাশকতার সঙ্গে যুক্ত পাকিস্তানি জঙ্গিদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছিলেন তিনি।

মোদির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানে আত্মগোপনকারী জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে।

তার মতে, ‘ভারতের দাবি সত্যি প্রমাণিত হলো। পাকিস্তানে বসে কাশ্মিরে অশান্তি ছড়াতে মদদ দিচ্ছিল সালাউদ্দিন। পাক অধিকৃত কাশ্মির থেকে উপত্যকায় ভারত বিরোধী সন্ত্রাসের বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছিল তার সংগঠন।’

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১শ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি ভারতীয় বিমাসংস্থা। এত বড় চুক্তির ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও আর্থিক ক্ষেত্রেও দুইদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে জোর দিয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতা। এর ফলে দু’দেশেরই আর্থিক বৃদ্ধি ছাড়াও কর্মসংস্থানও হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ বড় ভূমিকা নিতে পারবে দু’দেশ।

টিটিএন/জেআইএম