খেলাধুলা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

প্রথম দুই ম্যাচের একটি করে জিতেছিল ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯ রানে হারিয়ে দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

Advertisement

ইংল্যান্ডের করা ১৮১ রানের জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে ডেভিড মালান এবং বল হাতে নৈপুন্য দেখিয়েছেন ক্রিস জরদান।

টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জেসন রয়কে ফিরিয়ে দেন মরনে মর্কেল। ৮ রান করে আউট হন রয়। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই ১০৫ রান তোলেন আলেক্স হেলস আর ডেভিড মালান। এই ম্যাচেই অভিষেক হয় মালানের এবং অভিষেকেই বাজিমাত করেন তিনি।

২৮ বলে ৩৬ রান করে আলেক্স হেলস আউট হয়ে গেলেও ৪৪ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেভিড মালান। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। জস বাটলার ২২ বলে করেন ৩১ রান।

Advertisement

এই তিন-চারজনের ব্যাটেই বিশাল স্কোরের পথ খুঁজে পায় ইংল্যান্ড। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট পড়লেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে ইংলিশরা। ড্যান প্যাটারসন ৩২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

আন্দিল পেহলুকাইয়ো নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মরনে মর্কেল এবং ইমরান তাহির।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই রিজা হেনরিক্স শূন্য এবং ক্রিস মরিস আউট হয়ে যান ৮ রানে। ওপেনার জেজে স্মাটস ২৯ এবং অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স করেন ৩৫ রান। এরপর আবার ডেভিড মিলার ও ফারহান বেহার্ডিয়েন আউট হন ৩ রান করে।

শেষ দিকে ম্যাঙ্গালিসো মোশেলে ২২ বলে ৩৬ এবং ২০ বলে আন্দিল পেহলুকাইয়ো ২৭ রান করার কারণে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে আসে। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস জরদান ৩১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। টম কারেন ২২ রান দিয়ে ২টি, লিয়াম প্লাঙ্কেট এবং ম্যাসন ক্রেন নেন ১টি করে উইকেট।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস