বিশ্বের একশ ৮০ কোটি মুসলিম উদযাপন করেন পবিত্র ঈদুল ফিতর। একদিন আগে পরে হলেও ঈদের আনন্দ-আয়োজন সব দেশেই সমান। তবে পার্থক্য শুধু রীতিতে। ঈদে কোথাও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ঘোড়দৌড় খেলার আয়োজন করা হয়। আবার কোথাও সবাই মিলে খাবার-খাওয়া একটা রেওয়াজ হিসেবে পালন করা হয়।
Advertisement
কোথাও আবার ঈদের দিন ছেলে-মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী ঈদের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায়। নামাজ আদায় করার পর সবাই মিলে মসজিদে খাবার উৎসবে মেতে ওঠেন কোনো কোনো দেশে। সেখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো পরিবেশন করা হয়। ঈদ উপলক্ষে থাকে সরকারি ছুটিও।
অস্ত্র হাতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকে। কোনো দেশে আবার ঘোষণা দিয়ে শত শত মানুষ চাঁদ দেখার জন্য একত্রিত হন। এরপর চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন ঈদ উদযাপন করেন। তারা পাড়া-প্রতিবেশীদের আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে সময় কাটান।
বাংলাদেশের মতো সৌদি আরবেও ঈদ উদযাপন করেন সবাই মিলে। ব্যাপক খাবারের আয়োজন হয় বাড়িতে বাড়িতে। ছোটরা সালামি নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সম্পদশালীরা গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। সেখানে একটি বড় রেওয়াজ হল উপহার দেয়া। এমনকি দোকানদারও ক্রেতাদের উপহার দেন।
Advertisement
রোববার বিভিন্ন দেশে পালিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। আসুন ছবিতে দেখে নেয়া যাক বিভিন্ন দেশের ঈদ পালন।
ঈদের দিন জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের কাছে একটি কবরস্থান জিয়ারত করছেন ফিলিস্তিনিরা।
কিরগিস্তানের রাজধানী বিশকেকের রাস্তায় ঈদের জামাত
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ঈদের জামাত। মসজিদের ভেতর জায়গা না হওয়ায় বহু মানুষ রাস্তায় নামাজ পড়েন।
Advertisement
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ব্লু মসজিদে ঈদের জামাত
মিসরের দালগামোন গ্রামে ঈদের দিন মানুষজন মৃত স্বজনদের কবর জিয়ারত করে থাকেন
মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে ৭৫ মাইল দূরে দালগামোন গ্রামে ঈদ উৎসব
ফিলিপাইনের মুসলিম অধ্যুষিত মারাউয়ি শহরে ঈদের নামাজে আগত নারী পুরুষ। ঈদের জন্য সেখানে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
সিরিয়ার প্রেসিডন্ট বাশার আল আসাদ মধ্যাঞ্চলীয় হামা নগরীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেছেন। চলতি বছর এই প্রথম তিনি রাজধানীর বাইরে এলেন।আসাদ রোববার আল-নূরি মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ৮৭ বছর পূর্বে দেশে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। সেই থেকে দেশের সব মানুষের একদিন আগে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
কেএ/পিআর