মিসর এমনিতেই তার নিজ দেশে গড়ে ওঠা বিদ্রোহী দলগুলোকে মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে মিসরে হাজির হয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএস গোপনে মিসরের বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বিধ্বংসী জিহাদি সংগঠন আইএস যদি সত্যি সত্যি মিসরে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে তাহলে কায়রোর (মিসরের রাজধানী) কানে বিপদের ঘণ্টাধ্বনি বাজবে। কারণ এমনিতেই কর্তৃপক্ষ নিজ দেশের বিদ্রোহীদের সামলাতে টালমাটাল।মিসরের ‘সবচেয়ে বিধ্বংসী সংগঠন’ হচ্ছে আনসার বায়াত আল-মাকদিস বা আনসার জেরুজালেম (জেরুজালেমের সমর্থক)। সিনাই উপদ্বীপে এই সংগঠনের মূল ঘাঁটি। গত বছর কয়েকশ’ মিসরীয় নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে এই সংগঠনের সশস্ত্রকর্মীরা।আনসার বায়াত আল-মাকদিসের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার বলেছেন, আইএস তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কীভাবে আরও বিধ্বংসী চেহারায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যায়।নাম গোপনের শর্তে ওই কমান্ডার রয়টার্সকে বলেন, ‘কীভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়, তারা আমাদের সেটাই শেখাচ্ছেন। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করি।’তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের অস্ত্র কিংবা যোদ্ধা- কোনোটাই দেয়নি। বরং তারা আমাদের শেখাচ্ছে, কীভাবে পাঁচ সদস্যের গোয়েন্দা দল (সিক্রেট সেল) তৈরি করতে হয়। যেমন- দলের একজন মাত্র সদস্য সংগঠনের অপর গোয়েন্দা-দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।’সশস্ত্র সংগঠন বনাম মিসরের সরকার- এই শত্রুতা বহু বছরের।মিসরে যিনিই প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন, সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে তাকে লড়তেই হয়। একের পর এক তারা এ সব সংগঠনের সদস্যদের উচ্ছেদ করেন। কিন্তু তারা আবারও মাথা তুলে দাঁড়ায়।
Advertisement