খেলাধুলা

রাশিয়ায় গোল করতে চায় ক্ষুদে ফুটবলার রাব্বি

দুই মাস আগে নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি শুরু ক্ষুদে ফুটবলার গোলাম রাব্বির। প্রায় প্রতি রাতেই স্বপ্নে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জের এ কিশোর নিজেকে আবিস্কার করতো রাশিয়ার কোনো মাঠে খেলছে। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণের একেবারে কাছাকাছি বশির উদ্দিন রতন আর মেহবুবা রতনের এ বুকের ধন। শনিবার রাতেই এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে রাশিয়া রওয়ানা হবে রাব্বি।

Advertisement

বিশ্বের ৬৪ দেশের একটি বাংলাদেশ, যেখান থেকে একমাত্র ক্ষুদে ফুটবলার হিসেবে রাশিয়া যাচ্ছে রাব্বি। যার বয়স কেবল ১১ বছর পার হয়েছে। নারায়নগঞ্জের মদনগঞ্জ হাজী ইব্রাহিম আলমচান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র রাব্বি রাশিয়া যাচ্ছে রাশিয়া যাচ্ছে সেখানে চলমান ফিফা কনফেডারেশন কাপ উপলক্ষ্যে গ্যাসপ্রমস পঞ্চম ফেন্ডশিপ ফুটবল ফেস্টিভালে অংশ নিতে।

লটারিতে স্ট্রাইকার উঠেছিল বাংলাদেশের ভাগ্যে। তাই বাফুফে বাছাই করেছে স্ট্রাইকার রাব্বিকে। রাশিয়া গিয়ে গোল করতে চায় এ ক্ষুদে ফুটবলার। শুক্রবার রাতে নারায়নগঞ্জ থেকে টেলিফোনে রাব্বি জাগো নিউজকে বলছিল, ‘আমি স্ট্রাইকার। রাশিয়া গিয়ে গোল করতে চাই। যাতে ওখানকার মানুষ বলে বাংলাদেশের রাব্বি গোল করেছে।’

বয়স এখনো ১২ পূর্ণ হয়নি। এ বয়সের একটি ছেলে বাবা-মাকে রেখে যাচ্ছে রাশিয়া। তাই বলে কোনো ভয় নেই তার মনে। ‘আমি কোনো ভয় করি না। আমি ওখানে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশবো’- বলছিল রাব্বি। রাশিয়া যাওয়ার অনেক প্রস্তুতির মধ্যে ইংরেজি শেখাও ছিল।

Advertisement

রাব্বির অনেক প্রয়োজনী ইংরেজি শব্দ শিখেছে। কি কি ইংরেশি শিখেছো? ‘যেমন সকালে কারো সঙ্গে দেখা হলে বলবো গুড মনিং, হাউ আর ইউ, নাইস টু মিট ইউ। আবার বিদায়ের সময় বলবো গুডবাই, সি ইউ। রাতে বিদায় নিলে বলবো গুড নাইট। এমন অনেক কিছু শিখেছি’- জাগো নিউজকে বলছিল রাব্বি।

ছেলে রাশিয়া যাবে- রাব্বির নারায়নগঞ্জে বাড়ীতে এখন আনন্দের ঢেউ। এর আনন্দের মধ্যে অভিযোগও আছে রাব্বির বাবা বশির উদ্দিন খানের। ‘দুই মাস ধরেই আমি বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছি রাব্বিকে কী কী কাপড় দিতে হবে। গরম কাপড় কয়টা লাগবে। লাগেজ কেমন হবে; কিন্তু বাফুফে সব সময়ই বলে আসছিল আমাদের কিছুই করা লাগবে না। সব তারা ব্যবস্থা করবে। কিন্তু এখন যাওয়ার আগের দিন হঠাৎ করে বাফুফে জানিয়েছে অনেক গরম কাপড়, মাফলার, লাগেজ- এসব লাগবে। আসলে আমরা যখনই যোগাযোগ করেছি, বাফুফের লোকজন কখনই আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি। যেন আমরা ঠেকছি তাদের কাছে’- অভিযোগ রাব্বির বাবার।

তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘এমন তো হওয়ার কথা নয়। তাদেরতো সব কিছু ঠিকঠাকমতো বুঝিয়ে দেয়ার কথা। আমি দেখছি কেমন এমন হয়েছে। দরকার হলে রাব্বির বাবার সঙ্গেও আমি কথা বলবো।’

এদিকে রাব্বির সঙ্গে ট্রায়াল দেয়া এক ক্ষুদে ফুটলারকেও সাংবাদিক বানিয়ে রাশিয়া নিয়ে যাচ্ছে বাফুফে। ড্যানিয়েল করিম আনসারী নামের এই ক্ষুদে ফুটবলারকে বাফুফে রাশিয়ায় দেখাবে ক্ষুদে সাংবাদিক হিসেবে। ড্যানিয়েল বাফুফের কোনো এক শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তার আত্মীয়-এমন অভিযোগও উঠেছে।

Advertisement

থাকে দেশের বাইরে। তবে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘ক্ষুদে সাংবাদিক কোটায় একজনকে পাঠানোর সুযোগ ছিল আমাদের। তাই ওকে পাঠাচ্ছি। সে ওখানে গিয়ে একটু দেখবে, ঘুরবে।’

আরআই/আইএইচএস/পিআর