আরবি সনের মাসগুলো ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়। মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরদিন নতুন মাস শুরু হয়। আর চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়।
Advertisement
রমজান মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা না গেলে রমজানের রোজা ৩০ দিন পূর্ণ করতে হয়। ৩০ রমজান চাঁদ দেখা না গেলেও পরদিন হবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। আর এদিনই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ঈদের নামাজ দীর্ঘ এক বছর সময় অতিবাহিত হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যান। তাই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
>> ঈদের নামাজ দুই রাকাআত, যা আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামাআতের সহিত আদায় করতে হয়।>> ঈদের দুই রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়ে।
Advertisement
প্রথম রাকাআতআল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদ-উল-ফিতরের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সাথে ইমামে পিছনে আদায় করছি-
>> তাকবিরে তাহরিমা- ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাধবেন।
ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে-
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
Advertisement
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবির ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাধবেন।
অপঃপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাআতইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকিবর প্রথম রাকআতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই নামাজ সম্পন্ন করবেন।
উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামাতেরও প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দরভাবে ঈদের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস