ধর্ম

জাকাত আদায়ের উপকারিতা

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ ইবাদত হলো জাকাত। জাকাত আদায়ের শর্ত হচ্ছে, জাকাত আদায় করা ওই ব্যক্তির জন্য ফরজ; যার নিসাব পরিমাণ ধন-সম্পদ রয়েছে।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের জন্য জাকাতকে ফরজ করেছেন। শুধু তাই নয়, জাকাতের ফরজিয়ত আদায়ের মধ্যে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। সংক্ষেপে যার কিছু তুলে ধরা হলো-

>> জাকাত গ্রহণ ও প্রদান করার উদ্দেশ্য সম্পদ জমা করা এবং ফকির ও অভাবগ্রস্তদের ওপর খরচ করাই শুধু নয়; বরং প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষ যেন নিজেকে সম্পদের ঊর্ধ্বে রাখতে পারে। সে যেন সম্পদের মালিক হয়, গোলাম না হয়। আর এ জন্যই জাকাত গ্রহীতা দাতার জন্য পবিত্র ও পরিচ্ছন্নকারী।

>> জাকাত যদিও বাহ্যিকভাবে সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। প্রকৃত পক্ষে জাকাতের প্রভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, ধন-সম্পদে বরকত হাসিল হয়। জাকাত আদায়কারীর অন্তরে ঈমান বৃদ্ধি পায়। জাকাত আদায়কারীর চরিত্রিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

সম্পদের জাকাত আদায়ের মাধ্যমে নফসের ভালোবাসার জিনিসের চেয়েও ঊর্ধ্বে থেকে আল্লাহর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেয়। আর আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ পরকালের সফলতা লাভ করতে পারে।

>> জাকাত মানুষের পাপরাজিকে মিটিয়ে দেয়। আর তা জান্নাতে প্রবেশ এবং জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতির কারণও বটে।

>> আল্লাহ তা‘আলা জাকাতকে বিধি-বিধান করেছেন এবং তা আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান করেছেন। কারণ জাকাত নফস বা আত্মাকে অর্থের কার্পণ্য ও স্বার্থ থেকে পবিত্র করে।

>> এ জাকাত ধনী ও গরিবের মাঝের শক্তিশালী এক সেঁতুবন্ধন তৈরি করে। এর দ্বারা আত্মা পরিচ্ছন্নতা লাভ করে এবং অন্তরে প্রশান্তি আসে।

Advertisement

>> জাকাত তার আদায়কারীর নেকি অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয় এবং সম্পদকে দুনিয়ার যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করে। সম্পদ বৃদ্ধি হয়।

আবার জাকাত গ্রহণকারী ফকির-মিসকিনদের অভাব পূরণ হয়। অর্থনীতিতে অপরাধ তথা চুরি, লুটপাট ও ডাকাতি-জবরদখল ইত্যাদি থেকে সমাজ রক্ষা পায়।

সুতরাং প্রত্যেক সম্পদশালী ব্যক্তির উচিত, নিসাব পরিমাণ মালের জাকাত প্রদান করা। যাতে নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জিত হয় এবং আল্লাহর বিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর