আজ ২৮ রমজান। আগামীকালই নির্ধারিত হবে ঈদের দিন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দু-একদিনের মধ্যেই উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী কষ্ট করে যারা আল্লাহর হুকুম পালনে দিনের বেলায় পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ ত্যাগ করেছেন, তাদের জন্য রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের শুরুতে আল্লাহ তাআলা ঈদের আনন্দ দিয়েছেন। রোজা পালনকারীর জন্য ঈদের আনন্দ ও উৎসব প্রসঙ্গ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
Advertisement
ঈদের পরিচয়‘ঈদ’ আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো-ফিরে আসা। ঈদ যেহেতু আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানের দ্বারে দ্বারে বার বার ফিরে আসে, সঙ্গত কারণেই এ আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই রোজাদার মুসলমান মাসব্যাপী রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে ঈদ বা আনন্দ উদযাপন করে থাকে।
মানুষের মাঝে এ ঈদ প্রতি বছর দু’বার আসে। রমজানেরর ঈদকে ঈদ-উল-ফিতর বা রোজার ঈদ, আর কুরবানির ঈদকে ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ বলেই আমরা জানি।
ঈদুল ফিতর দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ তাআলা এ দিনে তার রোজাদার বান্দাদের নিয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করেন এবং তার ইহসানের দৃষ্টি বার বার দান করেন। কেননা মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশে রমজানে পানাহার ত্যাগ করেছেন আবার রমজানের পর তারই পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন।
Advertisement
প্রাক ইসলামী যুগে মদিনার আনন্দানুষ্ঠানহাদীসে এসেছে- ‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনাতে আগমন করলেন, তখন মদিনায় দুটো দিবস ছিল; যে দিবসে তারা (মদিনার লোকজন) খেলাধুলা করতো।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুই দিনের তাৎপর্য কী? মদিনাবাসীগণ বললেন, আমরা এ দুই দিনে (আনন্দ) খেলাধুলা করি।
তখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দান করেছেন। তার একটি হলো- ঈদুল আজহা ও অপরটি হলো- ঈদুল ফিতর।’ (আবু দাউদ)
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঈদের দিনের আনন্দ ও করণীয় কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস