ঈদ মানেই চারিদিকে উৎসব আর আনন্দ। আর এই উৎসব আনন্দের মাঝে আবার হাজারটা কাজের ঝামলো। ঈদের আয়োজনে ঝক্কি ঝামেলার যেন অন্ত থাকে না।
Advertisement
তবে এত কিছুর পরেও ঈদের আয়োজনে নিজেকে একটু সুন্দর, পরিপাটি আর আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে রাখতে চায় সবাই। নিজেকে অন্যদের চোখে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে কে না চায় বলুন?
ঈদের সাজ বা ব্যতিক্রমী পোশাকটাই কিন্তু উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কার পোশাকটা অন্যদের চেয়ে আলাদা বা একটু বেশি সুন্দর, কাকে সবচেয়ে মিষ্টি লাগছে দেখতে বা কার পোশাকটা সাজের সঙ্গে বেশ মানিয়েছে এ নিয়ে খুনসুটিও চলে বেশ।
ঈদের ছেলেরা সাধারণত পাজামা, পাঞ্জাবী পড়ে। অন্য পোশাকেও দেখা যায় তাদের। অপরদিকে মেয়েরা কেউ শাড়ি কেউ থ্রি পিস পরেন। তবে পোশাক যাই হোক না কেন পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেই সাজগোজটা করা উচিত।
Advertisement
এক্ষেত্রে ঈদের দিনের পোশাকটির সঙ্গে কেমন করে সাজবেন, দিনের পোশাকের সঙ্গে রাতের পোশাক ও সাজের বৈচিত্র্য কেমন হবে তা আগের দিন ঠিক করে রাখুন। তাহলে টেনশন মুক্ত থাকার পাশাপাশি নিজেকে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগবে।
ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই গোসলটা সেরে নিলে সারাদিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। তবে যেসব নারীদের রান্নাবান্না আর ঘরে কাজের ঝামেলা থাকে তারা চাঁদরাতের দিন রান্নার কিছু কাজ গুছিয়ে রাখুন। সকালে উঠে চটজলদি কাজগুলো করে গোসলটা সেরে হালকা সাজগোজ করে নিতে পারেন।
ঈদের পোশাকঈদের পোশাকটা কেমন হবে তা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন সবাই। সারাদিন অনেক কাজ আর ঘোরাঘুরি করা হয় তাই একটু আরামদায়ক পোশাক পরিধান করাই ভালো। এক্ষেত্রে হালকা সুতির পোশাক হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, জিন্স যেই পোশাকই পরবেন খেয়াল রাখবেন সেটা আপনার জন্য আরামদায়ক হচ্ছে কিনা। পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে শিফন বা জর্জেটের পোশাক, জামদানি বা টাঙ্গাইলের শাড়িও পরতে পারেন। ঈদ মানেই আনন্দ তাই এই দিনে আপনার যে পোশাকটা পছন্দ সেটাই পড়ুন।
Advertisement
ঈদের সাজঈদের দিনে এতো কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে চান সবাই। এক্ষেত্রে মেয়েরা ঈদের দিনের সাজটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর ও রাতের সাজ এবং সেই সঙ্গে পোশাকটা কী হবে সেটাও আগে থেকেই ঠিক করে নিন। এতে করে পুরো দিনটাই আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।
সকালের সাজঈদের দিনের সকালেই মূলত কাজের চাপটা একটু বেশি থাকে। তাই চলাফেরা করতে সুবিধা হয় এমন কোনো পোশাকই সকালের জন্য বেছে নিন। সকালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই কোন হালকা কালারের পোশাক পরতে পারেন। সকালে যারা রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকবেন তারা মেকাপ এড়িয়ে চলুন। বরং ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে হালকা করে সেজে নিতে পারেন। সকাল বেলায় ভারি মেকাপ না নেওয়ায় ভালো। এসময় চোখে কাজল হালকা কাজল দিতে পারেন। সকালের সাজটা একেবারেই ন্যাচারাল হলে ভালো। তাই ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক না দিয়ে ন্যাচারাল কালারের লিপিস্টিক লাগিয়ে নিলে চেহারায় শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়বে। আর এ সময় চুলটাও বেঁধে রাখুন তাহলে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
দুপুরের সাজযেহেতু এবারের ঈদটা গরমের মধ্যেই কাটাতে হবে তাই দুপুরের সময়টাতে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রংয়ের পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের পর পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন। আর ঠোঁটে পছন্দের কালারের লিপস্টিক দিন। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে স্যাডো আর আইলাইনার দিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না আর হাতে আংটি পড়তে পারেন।
রাতের সাজঈদের রাতের সাজ নিয়ে একদমই ভাববেন না। রাতে নিজের ইচ্ছামতোই সাজুন। বাইরে ঘুরতে গেলে শাড়ি পরতে পারেন। এ সময় হালকা মেকাপ করতে পারেন। মুখে, গলায় ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে ফাউন্ডেশন বসিয়ে নিন। এরপর হালকা করে ফেস পাউডার দিয়ে নিন। চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রংয়ের স্যাডো ব্যবহার করুন। রাতের মেকাপটা একটু ভারী করুন। ঠোঁটের লিপস্টিকের রংয়ের ক্ষেত্রেও একটু গাঢ় রংটাই বেছে নিন।
এএ/জেআইএম