যৌথ প্রযোজনার নামে অবৈধভাবে সুকৌশলে ভারতীয় ছবি বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চলচ্চিত্র পরিবার আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
সেখানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিতর্কিত ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চিত্রনির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
তিনি বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার ‘বস ২’ ও ‘নবাব’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল চলচ্চিত্র পরিবার। এ ছবি দুটি যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ হয়নি দাবি আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। এই ধারাবাহিকতায় তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনিয়মের লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু গত বুধবার আনকাট সেন্সর দেয়া হয়ে সিনেমা দুটিকে। আর এই ঘটনার পেছনে চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিবাদকে হেয়ালি করে নেপথ্য নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন তথ্যমন্ত্রী। এটা বেদনাময়।’
এর প্রতিবাদে ঝন্টু বলেন, ‘জিৎ ফেসবুকে ‘বস ২’ নিয়ে লাইভ করেছে সেখানে কোথাও বাংলাদেশের নাম নেয়নি। ওপার বাংলার প্রচারে মনে হয় এটা তাদের লোকাল ছবি। এটা কীভাবে যৌথ প্রযোজনার ছবি হয় তাহলে? আর সরকারি নীতিমালা না মেনে যে ছবি তৈরি হয় সেটা কীভাবে আনকাট সেন্সর পায়? সরকারের নিয়ম ভাঙার সাহস তাকে কে দিয়েছে? তিনি কি প্রধানমন্ত্রী বা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েছেন? কোন ক্ষমতা বলে তিনি রাষ্ট্রের আইন অমান্য করা লোকদের পাশে দাঁড়ালেন?’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘হাসানুল হক ইনুর ইতিহাস আমরা জানি। জাতির পিতার মৃত্যুর পর সে উল্লাস করেছে। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ঢোল বানাতে চেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদারতা দেখিয়ে তাকে পুনরায় দেশ সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আর ইনু সাহেব দেশ সেবা করার বদলে দেশের সর্বনাশ করে চলেছেন।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি এই তথ্যমন্ত্রীর অধীনেই বাংলাদেশ বেতারের একটি পদে কর্মরত আছি। উনি যদি পারেন আমাকে বরখাস্ত করুন। আমি উনাকে প্রকাশ্যেই বলছি, উনি এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পকে অবমূল্যায়ন করে।’
এ সময় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু প্রধানমন্ত্রীর আশু পদক্ষেপ দাবি করে বলেন, ‘এই সংকটে দেশনেত্রী ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে না এলে আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এলএ/বিএ
Advertisement