কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য ১৩ টি শর্ত দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইনের এই দাবি বেঁধে দেয়া ১০ দিনের মধ্যে না মানলে কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যদি ১০ দিন পার হয়ে যায় এবং কাতার এই দাবি না মানে, তাহলে এই তালিকা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। এই তালিকার কিছু দাবি যে কাতারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তা দেশটির নেতাদের এযাবৎ দেয়া বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি চলতি সপ্তাহে বলেছেন, তার দেশ কোনো বিদেশি নির্দেশনা মানবে না। আল জাজিরা চ্যানেল সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনাও করবে না; কারণ এটা দেশটির অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়।
তিনি আরও বলেছেন, কাতারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অন্য কোনো দেশের নাক গলানোর অধিকার নেই। কারও কথায় নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি তারা বাতিল করবেন না বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এছাড়া তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়াসহ আরও যেসব দাবি সৌদি আরব এবং অন্যরা তুলেছে; কাতার যে সেগুলো মানবে, তারও কোনও সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যেই তুরস্ক তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, কাতারের সামনে এখন দুটি রাস্তা খোলা থাকবে। প্রথমত, এসব দাবি মেনে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে উপসাগরীয় আরব জোটে ফিরে যাওয়া। অন্যথায় সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়া।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন শুরু করলে দেশটিতে বিমানে করে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্ক। এ সপ্তাহে খাবার-দাবার নিয়ে তাদের প্রথম জাহাজ কাতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের পক্ষ থেকেও কাতারের দুর্দিনে পাশে থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
নিষেধাজ্ঞা জারির পর তুরস্ক থেকে কাতারে রপ্তানির পরিমাণ স্বাভাবিকের তিনগুণ বেড়ে গেছে বলে তুরস্কের শুল্ক এবং বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন। তুরস্কের অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, একশ ৫টি বিমান ভর্তি খাবার তারা কাতারে পাঠিয়েছে। কিন্তু বিমানপথে সরবরাহ পাঠানোর ব্যাপারটি দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হবে না।
কেএ/এমএস