কাশ্মিরে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজিত জনতা ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট মুহাম্মদ আইয়ুব পন্ডিতকে রাজধানী শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদের সামনে হত্যা করেছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
মুহাম্মদ আইয়ুব পন্ডিত সেসময় জামিয়া মসজিদের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তখন শব-ই-কদরের নামাজ পড়ছিলেন আশপাশের মুসলমান লোকজন।
সেখানকার পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত পুলিশ সাধারণ পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই মসজিদের সামনের পুলিশ চৌকিতে সাদা পোশাকেই দায়িত্ব পালন করছিলেন আইয়ুব।
জানা গেছে, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া কিছু বিক্ষোভকারীর ছবি তুলছিলেন আইয়ুব। তবে কী ব্যাপারে জনতা বিক্ষোভ করছিল, তা জানা যায়নি। এসময় ছবি তোলা নিয়ে কিছু লোক আপত্তি জানান। অল্প সময়ের মধ্যে ওই কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন উত্তেজিত জনতা।
Advertisement
অন্যদিকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পিস্তল থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালান আইয়ুব। অাইয়ুবের কাছে থাকা বুলেট শেষ হয়ে গেছে বুঝতে পেরে অারও উত্তেজিত হয়ে ওঠা জনতা তার পিস্তল কেড়ে নেন। আবারও গণধোলাই শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকেই জনগণের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, আইয়ুব আসলে একজন অমুসলিম এবং তিনি কোনও নিরাপত্তা অ্যাজেন্সিতে কর্মরত। যদিও ওই মসজিদের সামনে বেশ কিছুদিন ধরে দায়িত্ব পালনকালে নামাজ পড়তে যেতেন তিনি। সেকারণে মুসল্লিদের অনেকেই তাকে চিনতো। কিন্তু ওই সময় তারা লোকটাকে মেরে ফেলেছে কোনো বিবেচনা ছাড়াই।
আইয়ুবের পিস্তলের গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন। জনতার উত্তেজনা বিবেচনা করে সেখানকার অন্য পুলিশ সরে গেলেও পরে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
রাতের ওই ঘটনায় শ্রীনগরের সাতটি থানা এলাকায় একশ ৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
কেএ/এমএস