মার্কিন করদাতাদের দেয়া অর্থ থেকে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী ‘আফগান ন্যাশনাল আর্মি’র পোশাকের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করার তথ্য জানিয়েছেন বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের বিষয় পর্যালোচনাকারী, মার্কিন ইন্সপেক্টর জেনারেল জন সোপকো। খবর বিবিসির।
Advertisement
মার্কিন ইন্সপেক্টর জেনারেল জন সোপকো জানান, জংলি ছাপার পোশাক বানানো তাদের জন্য অযৌক্তিক। কারণ, আফগানিস্তানের মোট বনভূমি সেখানকার মোট আয়তনের মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ। দেশটির পরিবেশের সঙ্গে জংলি ছাপার ওই পোশাক কীভাবে মানানসই তা একবারও চিন্তা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০০৭ সালে পোশাকের এমন নমুনা পছন্দ করেছিলেন আফগানিস্তানের একজন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ১৭ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে সোপকো লেখেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর পোশাকের ধরনই পছন্দ করেছেন সাবেক আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল রহিম ওয়ার্দাক।
সোপকো আরও বলেন, করদাতাদের দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার নষ্ট করা হয়েছে ফ্যাশনের নাম করে। আফগান সেনাদের জন্য অনলাইনে পোশাকের নমুনা যাচাই-বাছাইয়ের কাজে মন্ত্রী ওয়াদার্কের সঙ্গে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও একই ধরনের তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ওই সময় মন্ত্রী যা দেখেছেন, তা-ই পছন্দ করে কেনার অনুমতি দিয়েছেন। কারণ ওই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনে করেছেন নকশাটি খুবই চমৎকার।
Advertisement
সোপকো যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএস টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী যদি বেগুনি কিংবা গোলাপি রং পছন্দ করতেন, সেক্ষেত্রে কী হতো? আমরা কি তাহলে প্রশ্ন না তুলে সেনাদের জন্য সেই রংয়ের পোশাক কিনতাম? এর কোনো মানেই হয় না। আর অামার উদ্বেগের জায়গা সেখানেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা অবশ্য সোপকোর নতুন কাজ নয়। এর আগেও অনেক বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আসছেন তিনি। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ অপচয়ের জন্য পেন্টাগনেরও সমালোচনা করেছেন জন সোপকো।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা বাড়ানোর চিন্তা করছে পেন্টাগন। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেএ/এমএস
Advertisement