কতিপয় কর্মকর্তার মাত্রাতিরিক্ত নতজানু নীতির কারণে ঈদে আবারো বৈষম্যের শিকার হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হতভাগা ১২০০ ক্যাজুয়াল শ্রমিক-কর্মচারী।
Advertisement
প্রতিটি ফ্লাইটে ৯ থেকে ১০ টন মালামাল টেনে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও এসব কর্মীরা মন গলাতে পারেনি বিমান প্রশাসনের। ফলে ঈদের দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে উপোস থাকার উপক্রম হয়েছে তাদের।
ঈদের আগে বিমানের নিয়মিত কর্মীদের বেতন-বোনাস হলেও ক্যাজুয়াল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়নি।
বিষয়টিকে অমানবিক ও চরম বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন বিমান শ্রমিক লীগ-সিবিএ সভাপতি মো. মশিকুর রহমান। তিনি বৈষম্যের শিকার এসব ক্যাজুয়াল কর্মীদের ২০ দিনের বেতন অবিলম্বে পরিশোধের জন্য বিমান প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Advertisement
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় জাগো নিউজকে তিনি টেলিফোনে জানান, দেশের গার্মেন্টস শিল্পসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ দিনের বেতন দেওয়া হয়েছে। অথচ বিমান কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছে।
এদিকে, বিমানকে অ্যাসেনসিয়াল সার্ভিস ঘোষণা করার পরে তার প্রথম ফলাফল পেলেন হতভাগা এ ১২০০ ক্যাজুয়াল শ্রমিক-কর্মচারী। তারা এবার ঈদের আগে জুন মাসের কোনো বেতন পাবেন না। তবে প্রত্যেককে ২৮০০ টাকা করে ঈদের বোনাস দিয়েছেন।
বিমানমন্ত্রী সংসদের চলতি অধিবেশনে জানিয়েছেন, গত দুই বছরে বিমানের লাভ ৬০০ কোটি টাকা। সরকারের রাজস্ব তহবিলে প্রতিষ্ঠানটি জমা দিয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু তবুও এসব কর্মীদের ঈদের আগে বেতন দেওয়া হলো না।
জসিম উদ্দিন নামে বিমানের এক কর্মচারী জানান, যাদের সিদ্ধান্তে এটা হলো ওই কর্তাব্যক্তিদের বেতন-বোনাস কিন্তু ব্যাংকে চলে গেছে ঈদের ৭ দিন আগে। যাদের ঘামে বিমান চলে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে, ঈদ-পূজায় ও অন্যান্য ছুটির দিনে তারা কাজ করেন। কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা কী এ শ্রমিকদের মানুষ না যন্ত্র মনে করেন, প্রশ্ন তার।
Advertisement
গত বছর ঈদে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে চায়নি বিমান প্রশাসন। পরে সিবিএ নেতাদের কঠোর অবস্থানের মুখে বেতন দিতে বাধ্য হয়।
আরএম/এসআর/আরআইপি