আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের কষ্ট লাঘব করতে কাজ করে যাচ্ছে অন্তহীনভাবে। বিজ্ঞানের আরেকটি সাফল্য হলো আমাদের বহুতল ভবনগুলোতে ব্যবহৃত লিফট বা আমরা যাকে এলিভেটর এক্সপ্রেস বলে থাকি। বহুতল ভবন আরোহণের জন্যে লিফট বিনা অন্য কোন উপায় নাই। তবে এই লিফট ব্যাবহারেও কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলা আবশ্যক। জেনে নিন লিফট ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন-সাধারণত ইংরেজী ফ্লোর গণনার নিয়ম অনুযায়ী লিফটের ফ্লোর নাম্বার দেয়া হয়। কিছু ভবনের ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম ঘটে সেক্ষেত্রে আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো। দুই বা তিন তলায় ওঠার জন্যে লিফটে ভীড় না জমানোটাই শোভনীয়। এটা যেমন আপনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখবে তেমনি অন্য লিফট আরোহীদের বিরক্ত কারন হতে হবেনা। বন্ধ হয়ে যাওয়া দরজা দেখে দৌড়ে যাওয়ার প্রবণতাও ঠিক ভদ্রতা বলে গণ্য হয় না। অন্য আরোহীরা বিরক্ত হবে। আর অতিরিক্ত যাত্রী হয়েও লিফটে চড়া উচিত না।নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল ওঠানামা করবেন না। লিফটে চাপ যখন কম থাকবে তখন মালপত্র ওঠানামার কাজ সেরে ফেলুন।কোন পরিচিত ব্যাক্তির সাথে লিফটে দেখা হলে স্বাভাবিক কুশল বিনিময়ের সৌহার্দ্যতা বজায় রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন সেটা যেনো কোনও আড্ডায় রূপ না নেয়। লিফটে নিজেকে কিছুটা সংকুচিত করে রাখাই লিফটের ভদ্রতা।লিফটে যথাসম্ভব উচ্চস্বরে কথা বলা হতে দূরে থাকুন। লিফটে গুনগুনিয়ে গান করা, তালি দেওয়া, আড়মোড়া ভাঙা, আঙুল ফোটানো এসব করা চলবে না। লাইনে দাঁড়ান, ধীরে-সুস্থে লিফটে উঠুন ও নামুন।লিফটে কোন প্রকার চিপস বা উৎকট গন্ধযুক্ত খাবার অথবা ধূমপান করা মোটেই উচিত না। এতে করে অন্য লিফট যাত্রীদের বিরক্তিবোধ হতে পারে। ‘লেডিস ফার্স্ট’ এ প্রথা লিফটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। লিফটে লাইনে যে যেভাবে দাঁড়াবে, তাকে সেভাবেই উঠতে দিন। অতিরিক্ত সৌজন্যবোধে আবার হিতে-বিপরীত হতে পারে। তবে অসুস্থ বা শিশু হলে ভিন্ন কথা। আর লিফট যদি হাসপাতালের হয় তাহলে রোগীর অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। রোগীর স্ট্রেচার বা হুইল চেয়ার আগে যেতে দিন।নিজে ঢোকার পর অন্যদের ঢোকা ও দাঁড়ানোর জন্য জায়গা করে দিন। আর কল বাটন চেপে থাকলে এলিভেটর না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কারণ এলিভেটর আপনার তলায় আসার পর আপনাকে না পেলে অবস্থানরতরা বিরক্ত হবেন।আরএএইহচ/এলএ/পিআর
Advertisement