ঈদে ঘরমুখো মানুষজন রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে বাস, লঞ্চ, রেলস্টেশনে মানুষের ভীড় বেড়েছে। এই সময়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তারও আগে টার্মিনাল থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে গিয়েই যানবাহনগুলোর লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। সড়ক পথে রাজধানী থেকে বের হওয়া ও প্রবেশের মূল তিনটি পথ গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি। এ কারণে এখানেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে জরুরিভিত্তিতে দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Advertisement
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪০ জেলায় যাতায়াতে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের আগে-পরে রাতে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। এই পথের মূল সমস্যা অব্যবস্থাপনা ও যানবাহনের এলোমেলো চলাচল।
মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাস আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী-ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। কিন্তু এই পথে খানাখন্দ ও বাড়তি চাপে যানজট হচ্ছে। আর গর্ত-জলাবদ্ধতার কারণে যাত্রাবাড়ী হয়ে পূর্বাঞ্চলের যাত্রাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সায়েদাবাদ টার্মিনালে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে কাজলার পেট্রলপাম্প পর্যন্ত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়কের নিচের সড়ক বেহাল। জলাবদ্ধ ও খানাখন্দের সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে নিচ দিয়ে সরু পথে যানগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে, যানজটে আটকে থেকে। সড়কপথে রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের মূল তিনটি পথ চালু রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে। মূলত গাড়িগুলো এলোপাতাড়ি চলাচলের কারণেই যানজট লেগে থাকে। এজন্য চালকরা যাতে শৃঙ্খলা মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আরো বাড়াতে হবে পুলিশি তৎপরতা। যে কোনো মূল্যে তিনটি বাস স্টেশনকে সচল রাখতে হবে। মানুষজন ঈদযাত্রায় বেরিয়ে শুরুতেই যেন ধাক্কা না খায়।
Advertisement
এইচআর/আরআইপি