জাতীয়

সদরঘাটে লঞ্চে যাত্রীর চাপ এখনও শুরু হয়নি

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ, এই আনন্দকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে এরইমধ্যে বাড়ির পথ ধরেছেন কর্মব্যস্ত রাজধানীবাসীর অনেকে। কেউ কেউ আছেন অপেক্ষায়।

Advertisement

তবে ২৬ রমজান, বৃহস্পতিবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম বাহন লঞ্চে এখনও চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। নৌপথে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরাবরের মতো এবারও সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে আশানুরূপ যাত্রী চলাচল এখনও শুরু হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের প্রধান লঞ্চঘাট সদরঘাট ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য সংখ্যক বেশি যাত্রী ভিড় করেছেন সদরঘাটে। রাজধানীর স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রমজানের মাঝামাঝিতে ছুটি হয়ে যাওয়ায় নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। সদরঘাট লঞ্চঘাটের পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ন কবির জাগো নিউজকে বলেন, এখনও যাত্রী সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তবে যাত্রীর চাপ বাড়বে শনিবার থেকে।

Advertisement

‘ক’দিন ধরে মানুষ যাওয়া আসা করলেও বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার পর যাত্রীর চাপ বাড়ে কিছুটা।’ শবে কদর ও রমজানের শেষ জুমার পর অনেকেই ঢাকা ছাড়বেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা-ভোলা-লালমোহন রুটে চলাচলকারী গ্লোরী অব সি ডোরে’র পরিচালক কামরুল হাসান জাগো নিউজক বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ এখনও শুরু হয়নি। তবে শনিবার থেকে পুরোদমে ঈদযাত্রা শুরু হবে।

এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ভোগান্তির যাত্রা থেকে রক্ষা পেতে আগেভাবেই বাড়ির পথ ধরেছেন বরিশালের যাত্রী লুৎফর আইয়ুব। জাগো নিউজকে তিনি জানান, এখনও লঞ্চে যাত্রীর চাপ নেই। তাই আগেভাগেই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে বৃহস্পিতিবার শেষ কর্মদিবসে বাড়ি চলে যাচ্ছি।

‘লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়। তবে আগেই লঞ্চঘাটে চলে এসেছি। বিকেলে ঢাকার রাস্তায় যানজটে পড়ার আশঙ্কা থাকে। যানজট থেকে রক্ষা পেতেই বিকেলে চলে আসা,’ যোগ করেন দক্ষিণাঞ্চলের এই যাত্রী।

Advertisement

এসএম/এমএমএ/পিআর