ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, তার সরকার রাজধানীর জোয়ার সাহারা, বাড্ডাসহ অন্যান্য মৌজার দীর্ঘ ৫৬ বছরের অধিগ্রহণভুক্ত এলাকার অচলাবস্থা নিরসন চান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থে আইন ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু কিছু পত্র-পত্রিকায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছাপা হয়। ফলে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত মালিকদের কাছে জমি প্রত্যর্পণ হবে। তারা সহজ ও সাবলিলভাবে নামজারি, জমাখারিজ, জমি বেচা ও কেনা করতে পারবেন। স্বার্থান্বেষী মহলের এখানে অন্যায় কিছু করার সুযোগ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহত্তর ঢাকার বাড্ডা, জোয়ার সাহারা, ভাটারা, ভোলা ও সুতিভোলা মৌজার হুকুমদখল করা জমি থেকে ১৩৮৫.২৫ একর জমি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঢাকা জেলার এল.এ. কেস নং-১৩৮/৬১-৬২, ৯১/৫৭-৫৮ ও ২৩/৬৬-৬৭ এর সম্পত্তি অবমুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
Advertisement
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনভোগান্তিতে বিশ্বাসী নয়। এর আগে বহু সরকার এসেছে কিন্তু এ বিষয়ে কাগজে-কলমে সুনির্দিষ্ট কোনো সুরাহা করে যায়নি। বরং জটিল করে রেখেছে, ঝুলিয়ে রেখেছে। মানুষজন নামজারি, জমি কেনা-বেচা করতে পারছে না।
বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার প্রসঙ্গে শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘কিছু কিছু পত্র-পত্রিকায় মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছাপা হয়। এসব খবরে লেখা হয় মানুষের ভোগান্তি হয়েছে এবং চলছে। এসব জায়গায় প্রত্যর্পণের কাজ শুরু হয় আরও এক বছর আগে। প্রকৃত মালিকদের কাছে জমি প্রত্যর্পণ হবে। তারা সহজ ও সাবলিলভাবে নামজারি, জমাখারিজ, জমি বেচা ও কেনা করতে পারবেন। সরকার চায় এদেশের মানুষ যেন অসহায় না হয়। এমন কিছু যাতে না করা হয়, যার সুযোগ স্বার্থান্বেষী কোনো মহল নিতে পারে।’
‘জনভোগান্তি দূর করতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। জনস্বার্থে এ জটিলতা নিরসনে অতিদ্রুত গেজেট নোটিফিকেশন বাস্তবায়ন করা হবে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি বিগত ১৯৬১ সালের ২১ অক্টোবরের সভায় বৃহত্তর ঢাকায় আবাসনের জন্য ভোলা, মহাখালী, করাইল, লালা সরাইল, উলুন, ভাটারা, বাড্ডা, সামাইর, জোয়ার সাহারা ও সূতিভোলা মৌজার ২৭৬০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে ১৫১৮.২৮ একর জমির মধ্যে স্থানীয়রা ঘরবাড়ি সৃজন করে ঘনবসতি এলাকা হিসেবে বসবাস করে আসছে। এ সমস্যার সমাধানকল্পে ১৩৮নং এল.এ. কেসের অধিগৃহীত ১৫১৮.২৮ একর জমি থেকে ১৩৮৫.২৮ একর জমি পুরাতন মালিকদের কাছে প্রত্যর্পণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৯৩ সালের ৭ জানুয়ারি ৯৬১.২৪ একর জমি অবমুক্তির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এতোদিন গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ হয়নি। গেজেট নোটিফিকেশন হলে এলাকাবাসীর সকল সমস্যার সমাধান হবে।
Advertisement
এফএইচএস/এমএআর/এমএস