তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে দুস্থ ও অসুস্থ সাংবাদিকদের অনুকূলে গত ৫ বছরে ৮১৯ জনকে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে দুস্থ ও অসুস্থ সাংবাদিকদের অনুকূলে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা-২০১২’এর আওতায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬১ জন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮৫ জন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৯৬ জন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৮১ জন দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যথাক্রমে ৫০ লাখ, ১ কোটি, ১ কোটি ১০ লাখ, ১ কোটি ২০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রথমবারের মতো ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৯৬ জন দুস্থ ও অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত ও মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৫ কোটি টাকার সিডমানি দিয়েছে।
Advertisement
ইনু বলেন, গত ৭ বছরে ৭ শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৩১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, ২৪টি এফএম বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ৩টি টেলিভিশন চ্যানেল, ২১টি এফএম রেডিও ও ১৭টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট গত ৭ বছরে ১৬ হাজার ১ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট একই সময়ে ২ হাজার ২৫৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য একটি দায়বদ্ধ ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত পরিমার্জন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Advertisement
এইচএস/এসআর/আরআইপি