অবৈধ সুবিধা নিয়ে গাড়ি আমদানির অভিযোগে ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি মামলার সুপারিশ করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর।
Advertisement
শুল্কমুক্ত সুবিধায় (কারনেট) রেঞ্জরোভার গাড়ি বাংলাদেশে এনে ভোলা বিআরটিএ কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ তৈরি করে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন করানোর অভিযোগ আনা হয়েছে বিতর্কিত এ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
বুধবার এ সংক্রান্ত শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দুদকে প্রেরণ এবং অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দাদের পক্ষে এ সুপারিশ করেন কাস্টমস (গোয়েন্দা ও নিলাম) বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মো. রিয়াদুল ইসলাম। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, মুসার বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধান ও প্রাপ্ত তথ্যগুলো এনবিআরে পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে এনবিআর দুদকে মামলা করার সুপারিশ করেছে। দুদকে এনবিআরের পাঠানো চিঠিতে মুসার সুইস ব্যাংকে জমা ৯৬ হাজার কোটি টাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মুসা এ টাকার কোনো বৈধ উৎস শুল্ক গোয়েন্দাদের দেখাতে পারেননি।
Advertisement
এর আগে, ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দিয়ে গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করেন মুসা। অথচ ওই গাড়ির প্রকৃত শুল্ক দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা।
প্রিন্স মুসার এ অপরাধ দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দারা দুদক কর্তৃক মামলা ও তদন্তের সুপারিশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর দুদকে এ সুপারিশ পাঠায়।
এআর/এমএমজেড/এমএআর/এমএস
Advertisement