মহাকাশে পৃথিবীর আকারের ১০টি নতুন গ্রহের আবিষ্কার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা। মনে করা হচ্ছে, এসব গ্রহে জলের অস্তিত্ব এবং প্রাণ সঞ্চারের সম্ভাবনাময় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে।
Advertisement
ছায়াপথ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে মহাকাশে কেপলার মিশন অভিযান প্রকল্পের শুরু করে নাসা। দীর্ঘ ৯বছর পর সোমবার সেই মিশনের ফল হিসেবে পরিচিত সৌরজগতের বাইরে মোট ২১৯টি নতুন আবিষ্কৃত গ্রহের তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এর মধ্যে দশটি পাথুরে গ্রহে প্রাণ সঞ্চারের উপাদান মিলেছে বলে দাবি করেছেন নাসারি বিজ্ঞানীরা। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, এসব গ্রহের আকার পৃথিবীর সমান এবং নির্দিষ্ট সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত সূর্যের অনুরূপ নক্ষত্রগুলোকে তারা পৃথিবী ও সূর্যের সমদূরত্বের কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করছে।
এর থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ওইসব গ্রহে জলের অস্তিত্ব থাকতে পারে এবং প্রাণ উৎপাদনে সহযোগী পরিমণ্ডলের উপস্থিতিও অসম্ভব নয়।
Advertisement
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক আবিষ্কারের ফলে পরিচিত সৌরজগতের বাইরে এ নিয়ে মোট ৫০টি গ্রহের অস্তিত্ব আবিষ্কার করা হল। যাদের মধ্যে প্রাণ উৎপাদনের সহায়ক উপাদান উপস্থিত।
সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার আমেস গবেষণা কেন্দ্রে চতুর্থ কেপলার ও কে-টু বিজ্ঞান সম্মেলনে বিজ্ঞানী সুসান থমসন জানান, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তৈরি করা এই তালিকায় চিরকালীন এক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। আর তা হচ্ছে মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো আর কতগুলো গ্রহের অস্তিত্ব রয়েছে?
প্রসঙ্গত, মহাকাশে কোনো তারার সামনে কক্ষপথে ঘুরে চলা গ্রহ এসে পড়লে ক্ষণিকের জন্য নক্ষত্রের উজ্জ্বলতায় ভাটা পড়ে। আলোর সেই সঙ্কেত পড়েই কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বে থাকা গ্রহের অস্তিত্ব বুঝতে পারে কেপলার টেলিস্কোপ। গ্রহের এই চলাচলকে বিজ্ঞানীরা বলেন `ট্রানজিট`।
নাসার সাম্প্রতিক রিপোর্টটি ৪ বছরের অনুসন্ধানের ফল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই পর্যায়ে সিগনাস নক্ষত্রপুঞ্জের মোট ১ লাখ ৫০ হাজারটি তারাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
Advertisement
এমএমএ/পিআর