বাংলাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণের ৭৩তম জন্মদিন আজ (২১ জুন)। ১৯৪৫ সালের আজকের দিনে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার কাশবন গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংগ্রাম, প্রেম-বিরহ, জীবন-প্রকৃতি, স্বপ্ন- সব তার কবিতায় ধরা দিয়েছে এক অপূর্ব রূপে।
Advertisement
নিজের জন্মদিনের ভাবনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, এক বছর পর এবার যখন প্রাকৃতিক নিয়মে আমার জন্মদিনটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে তখন জন্মদিন ও জন্মবার্ষিকীর মধ্যকার পার্থক্যটা স্পষ্ট করতে চাই। মানুষের জন্মদিন জন্মবার্ষিকী থেকে এক বছর বেশি হয়ে থাকে।
জন্মদিনের আয়োজন সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, আমার ৭৩তম জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করার জন্য এবার আমি আমার জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার গ্রামে, আমার প্রতিষ্ঠিত কাশবন বিদ্যানিকেতন ও শৈলজা সঙ্গীত ভুবনের ছাত্রছাত্রীরা বীরচরণ মঞ্চে আমার জন্মদিন পালন করবে।
কবি নির্মলেন্দু গুণ কবিতার পাশাপাশি গল্প এবং ভ্রমণসাহিত্যও লিখেছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো- ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’, ‘কবিতা, অমীমাংসিত রমণী’, ‘দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘তার আগে চাই সমাজতন্ত্র’, ‘দূর হ দুঃশাসন’, ‘চিরকালের বাঁশি’, ‘দুঃখ করো না, বাঁচো’, ‘আনন্দ উদ্যান’, ‘পঞ্চাশ সহস্র বর্ষ’, ‘প্রিয় নারী হারানো কবিতা’, ‘শিয়রে বাংলাদেশ’, ‘ইয়াহিয়াকাল’, ‘আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি’, ‘বাৎস্যায়ন’, ‘রক্ষা করো ভৈরব’ ইত্যাদি। ‘আপন দলের মানুষ’ শিরোনামে রয়েছে তার একটি গল্পগ্রন্থ। এছাড়া লিখেছেন ‘সোনার কুঠার’ নামের একটি ছড়াগ্রন্থ। ‘আমার ছেলেবেলা’, ‘আমার কণ্ঠস্বর’ ও ‘আত্মকথা ৭১’ শিরোনামে রয়েছে তিনটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।
Advertisement
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য নির্মলেন্দু গুণ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার। তার মধ্যে অন্যতম হল ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০১১ সালে একুশে পদক, ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার।
আরএস/পিআর