দেশে চালের দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, সময়টা খুবই ক্রিটিক্যাল। চালের মজুত বাড়াতে হবে। চালের শুল্ক উঠে যাবে, এ টাইপের কথা বন্ধ করুন। দ্রুত বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিন।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের অফিসে আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি চিমিও ফান, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ শেখ তানজিব ইসলাম, অ্যানালিস্ট সাবিহা সুবহা মোহনা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব প্রমুখ।
জাহিদ বলেন, চালের মজুত কমে গেছে। এটার জন্য বাকিতে চাল আমদানি করার যে সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, সময় উপযোগী। কেননা আমদানির মাধ্যমে মজুত বাড়ালে ভালো হয়। যদি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মজুত বাড়াতে হয়, তাহলে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের চাল-ধানের দাম দিতে হবে।
তার মতে, জোর করে কৃষক বা ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে চাল নেয়া যাবে না। ব্ল্যাকলিস্ট বা অন্য কোনো মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করা হলে হিতে বিপরীত হবে। বাজার থেকে চাল উঠে যেতে পারে। আগামীতে অর্থনীতির জন্য যে কয়টা চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে চালের দাম একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, চালে শুল্ক উঠে যাবে, এসব বলা বন্ধ করতে হবে। এ ঘোষণার ফলে চালের ট্রাক সীমান্তে এসে আটকে যাচ্ছে। এপারে আসছে না। মনে করছে, চালের শুল্ক কমে গেলে ওই পারে ট্রাক নিয়ে যাব। নইলে লস হয়ে যাবে।
Advertisement
ব্যাংকিং খাতসহ অন্য সেক্টরে ভর্তুকির সমালোচনা করে ড. জাহিদ বলেন, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ আদায়ের কোনো উদ্যোগ নেই। যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়নি। অথচ প্রতি বছর ব্যাংকগুলোতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। যদিও সবাই জানে, এতে আমানত ঘাটতি কমবে না। বাজেটে ব্যাংকিং খাতসহ আর্থিক খাতে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।
এমএ/জেএইচ/ওআর/আরআইপি