গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকার পূর্বাচলে আধুনিক স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে ৭০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। সেখানে একটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। শিগগিরই এর দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিদেশি অর্থায়নে ঝিলমিল প্রকল্পে ১৪ হাজার ৪০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি এই কাজটি পেয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণকে এখানে ফ্ল্যাট দেয়া হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রবৃদ্ধি এখন ঊর্ধ্বমুখী। প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বৃত্ত ভেঙে এখন ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি করের আওতা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করে বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১৬ লাখ মানুষ কর দিচ্ছে। যা জনসংখ্যার ১ শতাংশ মাত্র। এই হার বাড়িয়ে কমপক্ষে ১ কোটি মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে।
Advertisement
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ ঠিকই ভ্যাট দেয়, কিন্তু সেই ভ্যাটের টাকা সিস্টেম লসের কারণে সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। দোকানগুলোর ভ্যাট প্রদান মেশিনের সাথে এনবিআরের সার্ভার সংযুক্ত করে অটোমেশন সিস্টেম চালু করতে পারলে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় না করে ৭ শতাংশ করে আদায় করলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। তিনি মোবাইল ফোন কোম্পানির ভ্যাট আদায়েও অটোমেশন পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রস্তাব করেন।
তিনি ঢালাওভাবে করারোপ না করে রেডিমেট ফ্ল্যাটসহ এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়-বিক্রয়ের উপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে ঢাকার বস্তিবাসীদের প্রত্যেককে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ্যাপার্টমেন্ট দেয়া হবে। তারা দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে এ্যাপার্টমেন্টর টাকা পরিশোধ করবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, উত্তরা এ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ৬ হাজার ৬৩১টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ বছর মেয়াদী কিস্তিতে এই ফ্ল্যাটের টাকা পরিশোধ করা হবে। এর প্রায় সবকটি ফ্ল্যাটই বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
Advertisement
তিনি জানান, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে ৮ হাজার ৪শ’ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এর পাশেই মেট্রোরেল হচ্ছে। সেখান থেকে মাত্র ২০ মিনিটে মতিঝিল যাওয়া যাবে। ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির আওতায় সারাদেশে ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৮৭৫টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি ফ্ল্যাট সুলভ মূল্যে ও সহজ কিস্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এইচএস/এআরএস/জেআইএম