দেশজুড়ে

ভোগান্তির আরেক নাম সাতক্ষীরার সড়ক-মহাসড়ক

সাতক্ষীরার বাসিন্দাদের কাছে এখন সবচেয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির নাম জেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক। এসব সড়কে নিত্যদিনের ভোগান্তির যেন কোনো শেষ নেই জেলার ২২ লাখ মানুষের।

Advertisement

তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরমুখো মানুষের কারণে এ ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন জেলাবাসী।

জেলার বিভিন্ন জীর্ণ ও প্রায় অনুপযোগী সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের এ থেকে রেহাই নেই। দীর্ঘদিন এ অবস্থা বজায় থাকলেও এ থেকে নিস্তারের কোনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের প্রধান সড়কটি শহরের অলিগলিসহ সাতটি উপজেলার সড়কের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এসব সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। একটু বৃষ্টি হলেও সড়কগুলো হয়ে ওঠে আরও ভয়ঙ্কর। এমন সড়ক দিয়ে নিত্য ভোগান্তি মেনেই চলাচল করেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

তবে আসন্ন ঈদে এ দুর্ভোগ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত সাধারণ বাসিন্দারা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা ঈদের সময়টাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা গ্রামের বাড়ি ফিরছেন তাদের জন্য এ সড়ক আরও ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠছে।

আশাশুনি উপজেলার কাজী মামুনুর রশিদ থাকেন ঢাকাতে। একটি প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিজীবী মামুন ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে এসেছেন নিজ গ্রামে। তবে বাড়ি ফিরতে রাস্তায় অনেকটা যুদ্ধ করে।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় মিডিয়ার মাধ্যমে সাতক্ষীরার সড়কের বেহাল অবস্থার কথা জেনেছি। কিন্তু এতটা ভয়াবহ জানতাম না। সাতক্ষীরা সদরে পরিবহন থেকে নামার পর আশাশুনি সড়কের দিকে রওনা হতেই দেখলাম রাস্তার কি ভয়ানক পরিস্থিতি।

ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরবেন রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুবার রহমান সুমন। কিন্তু সড়কের কথা ভেবেই চিন্তিত তিনি। বলেন, সাতক্ষীরার যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তারা এসব দেখেও দেখেন না। এসব সড়ক দিয়েই তাদের চলাফেরা। কিন্তু উন্নয়নের খোঁজ নেই। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তার সময় কোথায় এদের।

Advertisement

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহম্মেদ বলেন, রাস্তার কারণে শুধু যাত্রীদেরই ভোগান্তি তা নয়। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন যানবাহন মালিকরাও। জেলার সক সড়কের বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হলেও সুফল মিলছে না।

তিনি জানান, এটা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। পর্যায়ক্রমে একের পর এক সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। এখন একযোগে সব সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন।

সাতক্ষীরার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, সাতক্ষীরা সদরের প্রধান সড়কটি অত্যন্ত খারাপ। এটার টেন্ডার হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। আগামী ঈদুল আজহার আগেই কাজ শেষ হবে আশা করছি।

তিনি বলেন, জেলার যেসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী সেগুলো কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। গত অর্থবছরে তিন কোটি টাকার বাজেট ছিল। সে টাকায় যেটুকু সম্ভব সংস্কার করা হয়েছে। আগামীতে বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।

তিনি আরও জানান, জেলার মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এছাড়া সব সড়কই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব জানানো হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এসআর/আরআইপি