আন্তর্জাতিক

আমিরাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে না : কাতার

কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের পরও সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে কাতার। দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ শেরিদা আল কাবি আল-জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

কাতার পেট্রোলিয়ামের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, যদিও ডলফিন গ্যাস পাইপলাইন চুক্তিতে জবরদস্তিমূলক ধারা আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যেক দিন আরব আমিরাতে অন্তত ২ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে কাতার। তিনি বলেন, প্রতিবেশি ভাইদের কাছে কাতার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে না।

সাদ শেরিদা আল কাবি বলেন, ‘আজ আমরা যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি; তা জবরদস্তিমূলক এবং আমরা এই গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা যদি গ্যাস লাইন কেটে দেই, তাহলে এতে আমিরাতের এবং আমিরাতি জনগণের; যাদেরকে আমরা ভাই হিসেবে মনে করি, তাদের ভয়াবহ ক্ষতি হবে...আমরা গ্যাস লাইন না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিশ্লেষক ও দেশটির শিল্প খাত সূত্র বলছে, আরব আমিরাত এবং ওমানের সঙ্গে কাতারের উত্তরাঞ্চলের জায়ান্ট গ্যাস ক্ষেত্র ‘নর্থ ফিল্ড’ থেকে ৩৬৪ কিলোমিটারের ডলফিন পাইপ লাইনটি বন্ধ করে দেয়া হলে আমিরাতের বিদ্যুৎ চাহিদায় ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটাবে।

Advertisement

এর আগে রোববার শারজাহ ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই অঞ্চলের কূটনৈতিক বিবাদের ফলে কাতার থেকে আরব আমিরাতের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

জঙ্গিবাদে সমর্থন ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে গত ৫ জুন আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের চার দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে কাতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দোহা।

সৌদি নেতৃত্বাধীন এসব দেশ কাতারের সঙ্গে স্থল ও আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ১৪ দিনের মধ্যে কাতারি নাগরিকরা ওই দেশগুলো থেকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ পান। সৌদি, আমিরাত ও মিসরের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আঞ্চলিক বৃহত্তম বিমানসংস্থা কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের পথে পরিবর্তন আনা হয়। আমিরাত, মিসর ও সৌদিগামী ফ্লাইটও বাতিল করতে বাধ্য হয় কাতার এয়ার ওয়েজ।

এসআইএস/জেআইএম

Advertisement