ভূগর্ভস্থ পানি ওঠানোর জন্য লাইসেন্স ছাড়া গভীর নলকূপ স্থাপন করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল এ বিধান যুক্ত করে ‘কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৭’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে গ্রাউন্ড ওয়াটার অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবস্থাপনা চলে আসছিল। অডিন্যান্সটিকে হালনাগাদ করে একটি পরিপূর্ণ আইন করা হয়েছে। সচিব বলেন, এ আইনে উপজেলা পরিষদকে ক্ষমতাবান করা হয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটি নামে একটি কমিটি করা হয়েছে, যা উপজেলা পরিষদের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে। এখানে লাইসেন্সের একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ ভূ-গর্ভস্থ পানি কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স লাগবে। লাইসেন্স দেবে উপজেলা সেচ কমিটি। এই কমিটি লাইসেন্স দেয়ার আগে কোনো জায়গায় নলকূপ বসানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখবে। কারণ ভূ-গর্ভস্থ পানি যদি আমরা ব্যবহার করতে থাকি তাহলে এটা পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ আইনে বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, লাইসেন্স ফি পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে যে নলকূপগুলোর লাইসেন্স নেই সেগুলোকে লাইসেন্স নেয়ার জন্য সময় দেয়া হবে। তবে কেউ লাইসেন্স না নিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল দিতে পারবে আদালত। উপজেলা সেচ কমিটি লাইসেন্স স্থগিত কিংবা বাতিল করতে পারবে।লাইসেন্স নিতে কৃষকদের ভোগান্তি বাড়বে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটাতো ১৯৮৫ সাল থেকেই আছে। ওই আইনটাকেই বাংলায় করা হচ্ছে। তবে পুরনো আইনে লাইসেন্সের বিষয়টি ছিল কিনা দেখা হয়নি। এছাড়া আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি (রাস্তাঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন, ২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
এমইউএইচ/ওআর/জেআইএম