বিচারপতিরা দুষ্কৃতিকারীদের বিচার করে আর যারা খুনি-সন্ত্রাসী-ব্যাংক ডাকাত তারা বিচারকদের বিচার করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিচার বিভাগের শিরশ্ছেদ আইন আসছে। বিচারপতিরা দুষ্কৃতিকারীদের বিচার করবে। আর যারা খুনি-সন্ত্রাসী-ব্যাংক ডাকাত তারা বিচারকদের বিচার করবে। এই যদি হয় আইনের অবস্থা তাহলে দেশে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সপ্তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। আন্দোলনের ফলাফল কি হবে জানি না। তবে সরকার ভয়ে আছে। সীমান্ত পাড়ি দিতে পারবে না।বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আওয়ামী মন্ত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। যে বেশি জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে গালাগালি করতে পারবে সে ততো বেশি ভালো মন্ত্রিত্ব পাবে। কারণ আওয়ামী লীগের অনেকেই রাস্তায় গালাগালি করে শেখ হাসিনার দৃষ্টি আর্কষণ করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। এই যদি হয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যত খুশি মামলা করেন না কেন আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। বিদায় নিতেই হবে। যদি ভবিষ্যতে ক্ষমা পেতে চান তাহলে ভদ্র মহিলার মতো আচরণ করে গণতান্ত্রিক পন্থায় ফিরে আসুন।আন্দোলন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে আন্দোলন হয়েছে তার অর্ধেক আন্দোলন হলে এই সরকার খালে থাকবে, না নর্দমায় থাকবে তা জানি না।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
Advertisement