খেলাধুলা

রিয়েল গেম চেঞ্জার মোহাম্মদ আমির

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে না দেখে তো সবারই চক্ষু চড়কগাছ। একি, মোহাম্মদ আমির নেই দলে! তাও সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে! পরে জানা গেলো, পিঠের ইনজুরির কারণে তাকে রাখা যায়নি দলে।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তান জায়গা করে নিলো ফাইনালে। অপরদিকে ফাইনালে উঠলো ভারত। শুরু হলো ভারত-পাকিস্তান রণদামামা; কিন্তু এই যুদ্ধে পাকিস্তানের পতাকা বহণ করবেন কে? প্রশ্ন উঠল। কারণ, ইনজুরিতে যে নেই আমির।

শেষ পর্যন্ত জানা গেলো, আমির খেলবেন ফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে একাদশে রাখা হবে তাকে। বোলিং কোচ আজহার মেহমুদ এবং কোচ মিকি আর্থার জানিয়ে দিলেন, আমির পুরোপুরি ফিট এবং তিনি খেলবেন।

তবুও শঙ্কা ছিল, জোর করে তাকে ফাইনালে খেলানো হচ্ছে না তো। খেললে তিনি কতটুকুই বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন ভারতীয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের ওপর? নাকি প্রথম ম্যাচের মত রোহিত-ধাওয়ানদের হাতে আবারও মার খাবেন।

Advertisement

এসব ভাবতে ভাবতেই শুরু হয়ে গেলো ম্যাচ। টস হেরে ব্যাট করছে পাকিস্তান। আজহার আলি আর ফাখর জামানের ব্যাটে দুরন্ত সূচনা। আজহার আলি রান আউট হয়ে গেলেও ফাখর জামান তুলে নিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সেই সেঞ্চুরির ওপর ভর করে পাকিস্তানের রান ৩৩৮। জয়ের জন্য ভারতকে করতে হবে ৩৩৯ রান।

তবুও চিন্তা, ভারতের যে ব্যাটিং লাইনআপ, একবার ক্লিক করে গেলেই সব শেষ। ৩৩৯ রানও তখন আর বড় মনে হবে না। মামুলি হয়ে যাবে। এ কারণে পুরো পাকিস্তান তাকিয়ে ছিল মোহাম্মদ আমির বাম হাতের দিকে। তিনি কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন, তার ওপরই নির্ভর করবে অনেক কিছু।

আস্থার প্রতিদান দিলেন আমির। শুরু থেকেই চেপে ধরলেন ভারতকে। কোনো রান তোলার আগেই ফিরিয়ে দিলেন রোহিত শর্মাকে। বিরাট কোহলিকে তো ক্রিজেই দাঁড়াতে দিলেন না। ফেরালেন শিখর ধাওয়ানকেও। টুর্নামেন্টে ভারতের সবচেয়ে সফল তিন ব্যাটসম্যানকে শুরুতেই দেখিয়ে দিলেন প্যাভিলিয়নের রাস্তা।

ম্যাচ বের করতে নেমে শুরুতেই এই যে বড় ধাক্কা আমিরের কাছ থেকে পেয়ে গেলো ভারত, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ দিকে হাসান আলি আর শাদাব খান মিলে পুরোপুরি মুড়িয়ে দিলো ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে।

Advertisement

ভারতে টপ অর্ডারে যদি ভাঙন ধরানে না পারতেন আমির, তাহলে ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। এ কারণে, ভারত-পাকিস্তান ফাইনালে রিয়েল গেম চেঞ্জার তো হলেন মোহাম্মদ আমিরই।

আইএইচএস/