জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ১০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বাজেটে বরাদ্দের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
Advertisement
রোববার প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও ভোক্তা অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাবের সহ-সভপতি এস এম নাজের হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, কোনো দেশে একজন নাগরিকের স্বাস্থ্য ব্যয় তার সামগ্রিক ব্যয়ের ৩০ শতাংশের বেশি হলে সেই দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল বলে বিবেচিত হয়। অথচ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় ৬৩ শতাংশ।
ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। একইসঙ্গে জাঙ্কফুড ও তামাকজাত পণ্যের মতো অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্যে আসক্তি কমাতে সেগুলোর ওপর কর বাড়াতে হবে।
Advertisement
নাজের হোসেন বলেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও পাইলটিং বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।
ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড এ কে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল, বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব মানা উচিৎ। তা না হলে দেশের কোনো খাতে উন্নয়ন হবে না। আর স্বাস্থ্য সেবায় উন্নতি করতে হলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার নিয়ম মানা প্রয়োজন।
মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন সাধনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে। কার্ডিয়াক সার্জারিতে আমরা এখন অনেক উন্নয়ন করেছি। সারাদেশে মডেল ফার্মেসি করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৭ জেলায় মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে।
Advertisement
এমএ/এমআরএম/আরআইপি