গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানোকে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আগৈলঝাড়ায় ব্যাতিক্রমী `ঘুড়ি মেলা` শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে পড়ন্ত বিকেলে প্রতি বছর ১৬ মে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামের স্থানীয়দের উদ্যোগে শিমুলপাড়া ফসল কাটা জমিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঘুড়ির মেলায় আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, খাঞ্জাপুর, কোটালীপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার ৭১ জন প্রতিযোগিসহ স্থানীয় শিশু ও কিশোররা অংশগ্রহণ করে। মেঘ মুক্ত বিকেলের আকাশে পড়ন্ত বেলার বিস্তৃত জোড়া নীল আকাশে `ঘুড়ির মেলায়` হরেক রকমের বাহারি রংয়ের ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ। আয়োজক, প্রতিযোগী আর দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ঘুড়ির মেলাকে আরও মোহনীয় করে তোলে। সন্ধ্যায় স্থানীয় গৌরাঙ্গ লাল সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভপতি সোহেল ইমরোজ লিটন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রামশীল কলেজের প্রভাষক বীরেণ বালা, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক তপন বসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম আজাদ রহমান, প্রবীর বিশ্বাস ননী, স্থানীয় পলাশ মণ্ডল, সুব্রত মিত্র, হলবিলাশ জয়ধর, সুশেন অধিকারী,অজিত মধুসহ প্রমুখ। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ঘুড়ি প্রদর্শনীতে বিচারকদের রায়ে রাজিহার গ্রামের শংকর রায় প্রথম, বাটরা মোটর সাইকেল সমবায় সমিতি দ্বিতীয় এবং কোদালধোয়া গ্রামের হৃদয় মিস্ত্রী তৃতীয় স্থান লাভ করেন। গত বছর স্থানীয় পলাশ মণ্ডলের উদ্যোগে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হলে তার বিস্তৃতি ছড়িয়ে পরে সমগ্র এলাকায়।মো.সাইফুল ইসলাম/এমজেড/এমএস
Advertisement