তিন দিনের সরকারি সফর শেষে সুইডেন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। নানা দিক থেকেই সফরটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এটি ছিল সুইডেনে বাংলাদেশের কোন সরকার প্রধানের প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরকালে ব্যস্ত সময় কাটান। তিনি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকের আগে একই স্থানে উভয় নেতা একান্তে বৈঠক করেন।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভোজসভায় যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী রয়্যাল প্যালেসের অডিয়েন্স হলে সুইডেনের রাজা ষোড়শ গুস্তাভ-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি সুইডিশ পার্লামেন্ট পরিদর্শন করেন এবং ভারপ্রাপ্ত স্পিকার টোবিয়াস বিলস্টর্মের সঙ্গে বৈঠক করেন। সুইডেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন এবং বিচার ও অভিবাসন মন্ত্রী মর্গান জোহানসন যথাক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গ্র্যান্ড হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে পৃথক সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-সুইডেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরামের একটি বিজনেস ডায়ালগে অংশ নেন এবং প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
সফরকালে এইচ এন্ড এম কার্ল-জোহান পেরসন-এর সিইও এবং ইনভেস্টর জ্যাকব ওয়ালেনবার্গ-এর প্রেসিডেন্ট, ইনভেস্টর মার্কুস ওয়ালেনবার্গ-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং এবিবি সুইডেন জোহান সডারস্টর্ম-এর সিইও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সুইডেন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উন্নয়ন সহযোগী একটি দেশও। স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সুইডেন। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক। বাংলাদেশি সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে সুইডেনের বাজারে ।সুইডেনের একটি কোম্পানিই বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি তৈরি পোশাক কেনে। যা আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক।
Advertisement
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে যাচ্ছে-এমনটি বলেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেন নিজেই।সুইডেন অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর। দেশটি বাংলাদেশকে নানাভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। দুই প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা সৃষ্টি, প্রযুক্তি খাতে সহায়তা, বিনিয়োগ ও সন্ত্রাস দমন ইত্যাদি।
বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেয়া জরুরি। সুইডেন বাংলাদেশের এক পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার ও সহযোগিতার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হোক-এটিই প্রত্যাশা।
এইচআর/জেআইএম
Advertisement