চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মোহাম্মদ আমির উইকেটের দেখা পেয়েছেন গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৫৩ রান খরচায় দুই উইকেট ঝুলিতে জমা করেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অনন্য অবদান তার। ২৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়। পাকিস্তান পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট।
Advertisement
ওই ম্যাচ শেষে পাকিস্তান পায় দুসংবাদ, ইনজুরিতে পড়েন আমির। চোটের কারণে তো সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হওয়ার আগে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি এই পেসার। তার পরিবর্তে খেলেন রুম্মন রইস।
সেমিফাইনালেই ওয়ানডে অভিষেক হয় রইসের। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। ৯ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে দুই উইকেট পকেটে পুরেছেন। আমিরের অভাবটা যেন বুঝতেই দেননি ২৫ বছর বয়সী এই পেসার। ওই ম্যাচে ইংলিশদের ৮ উইকেট হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় পাকিস্তান।
আগামী ১৮ জুন লন্ডনের কেনিংটন ওভারে গড়াবে ফাইনাল। প্রতিপক্ষ ভারত। টিম ইন্ডিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে থামাতে আমিরকে চাইছেন পাকিস্তানের সমর্থকরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফাইনালে আমিরকে পাবে তো পাকিস্তান? দলটির বোলিং কোচ আজহার মাহমুদ অবশ্য সুসংবাদই দিলেন, ‘আমির আজ বোলিং করেছে, সে ফিট। তবে ফাইনালে খেলানো হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি।’
Advertisement
আমির অভিজ্ঞ একজন বোলার। ফাইনালে তাকে চান পাকিস্তানের বোলিং কোচ আজহার মাহমুদও। বলেন, ‘আপনি যখন ফাইনালে খেলবেন, তখন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেরই চাইবেন। আবার তাকে পূর্ণ ফিটই চাইবেন। আমিরের যদি কোনো সমস্যা থাকে, সে বলতে পারে। এই মুহূর্তে সে বোলিং করতে পারে। সে ভালো আছে। হ্যাঁ, আমিরকে আপনি চাইবেনই। কিন্তু সে যদি খেলতে না পারে, আমরা কিছু মনে করব না। যদি সে ফিট না থাকে, তাহলে অন্য কাউকে বেছে নেব।’
এনইউ/পিআর