খেলাধুলা

সাকিবের চোখে কেদারই সর্বনাশ ডেকে এনেছেন

প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। বাড়তি চাপ তো ছিলই। তবে চাপকে জয় করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারত বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে রান সংখ্যা ৩২০ কিংবা ৩৩০ পর্যন্ত চলে যেত।

Advertisement

কিন্তু ভারতের পার্টটাইম বোলার কেদার যাদবের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান, তামিম-মুশফিক। যা সর্বনাশ ডেকে এনেছে টাইগার শিবিরে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভারতের কাছে। তাতে ২৬৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে এই পুঁজি যথেষ্ট নয়। তাই ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টাইগারদের। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

‘আমরা যেভাবে খেলেছি, সত্যিই তা হতাশাজনক। আমরা ৩২০ কিংবা ৩৩০ রান করতে পারতাম। আমাদের কেউ সেঞ্চুরি করতে পারলে ৩২০ হয়ে যেত। ভারতের বোলাররা কিছু ডট বল দিয়েছে। কেদার যাদব যেহেতু পার্টটাইম বোলার, তাই তাকে মারতে গিয়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি। এই ধরনের পার্টটাইম বোলারের কাছে মূল্যবান দুই উইকেট (তামিম-মুশফিক) হারানো হতাশার। এরপর বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। আমাদের ফেলে দিয়েছে চাপে।’

এই ধরনের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ২৬০ কিংবা ২৭০ রানের পুঁজি লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। সাকিবের ভাষায়, ‘আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমরা অভিজ্ঞ দল। প্রতিপক্ষ বোলাররা ভালো করলে অনেক সময় বড় স্কোর করা কঠিন হয়ে যায়। এর মানে এই নয় যে, আপনাকে বিগ শট খেলতেই হবে। আমরা কিছু বাজে শট খেলেছি। এই ধরনের উইকেটে ২৬০ কিংবা ২৭০ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়!’

Advertisement

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারতে বসা ম্যাচও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব ভেবেছিলেন, মুশফিক-তামিম হয়তো তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। দুর্ভাগ্য যে বাজে শট কেড়ে নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য। সাকিব বলেন, ‘আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম। সেটা পারিনি। যা হতাশাজনক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলা আমাদের জন্য বড় বিষয়। কিন্তু কোনো বিভাগেই আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি।’

এনইউ/পিআর