বিশেষ প্রতিবেদন

ঈদ কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড় পুলিশ প্লাজায়

সম্প্রতি গড়ে উঠা বিলাসবহুল শপিংমলের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন (গুলশান) পুলিশ প্লাজা কনকর্ড। গেলো বছর ঈদ কেনাকাটা তেমন জমে না উঠলেও এবার দৃশ্য পাল্টেছে। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শপিংমলটিতে।

Advertisement

ক্রেতা সমাগম বাড়াতে এবার আকর্ষণীয় সব পুরস্কার ও রাফেল ড্র’র এর ব্যবস্থাও রয়েছে শপিং মলটিতে। ৫০০ টাকার বেশি কেনাকাটা করলেই রাফেল ড্র এর টোকেন মিলছে। প্রথম পুরস্কার একটি গাড়িসহ মোট ১০০টি পুরস্কার। দেশি-বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের সব আধুনিক পোশাক আর পণ্যে সাজানো হয়েছে পুরো শপিংমলটি।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে শপিং মলটিতে গিয়ে জানা যায়, গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঘড়ি, কসমেটিকস, ফার্নিচার, কিডস, লেডিস, জেন্টস, গার্মেন্ট ও দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সব পোশাক, মানি এক্সচেঞ্জ, গিফট আইটেম। টাকার সিকিউরিটির জন্য এটিএম বুথও রয়েছে নিচ তলায়।

দ্বিতীয় তলাতেও কিডস, লেডিস, জেন্টস, গার্মেন্ট ও দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সব পোশাক, ব্রাচ শট, কসমেটিকস, চশমাঘর, স্পোর্টস আইটেম ও ৩ ডি বডি এসেসমেন্ট অ্যান্ড কনসালটেন্সি।

Advertisement

তৃতীয় তলায় শাড়ি ও পাঞ্জাবির বিশেষ কালেকশন, এছাড়াও সব ধরনের পোশাকের দোকান। চতুর্থ তলায় রয়েছে ক্রোকারিজ, জুয়েলারি ও লেডিস আন্ডার গার্মেন্টস, জুতা ও দেশি ফ্যাশন্স হাউজগুলোর পসরা। আর ৫ম তলায় মোবাইল, মোবাইল সার্ভিসিং বিকাশ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য ও ফুড কোর্ড।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো শপিং মলে উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের পছন্দকে এক ছাদের নিচে সহজ করে দিতেই পুলিশ প্লাজা কনকর্ড সেজেছে হাজারো ঈদ পোশাকের সমারোহে। ক্রেতাদের আর্কষণ করতে পোশাক, গহনা, জুতা ও ব্যাগ থেকে শুরু করে হাজারো পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

দোকানিরা বলছেন, বিকেল থেকে রাত ৮টার পর পর্যন্ত ভিড় আরও বেশি হচ্ছে। ১৫ রমজানের পর থেকেই শপিং মলটিতে বেড়েছে কেনাকাটা। পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা আসছেন কেনাকাটা করতে।

পুলিশ প্লাজা কনকর্ড শপিং মলের সিকিউরিটি ইনচার্জ আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে এই মার্কেটে। আট ঘণ্টা পরপর শিফট বদল হয়। প্রতি শিফটে ৩০ জন কর্মকর্তা কাজ করেন। পুরো মার্কেট সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এ মার্কেটে সকাল ১০ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে মোট ৩৭১টি ছোটবড় দোকান রয়েছে। এর মধ্যে খাবারের দোকান ৩৬টি। রমজানকে কেন্দ্র করে রোজাদারদের জন্য মার্কেটেই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে নারী-পুরুষের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ২৫ জন নারী ও ৭০ জন পুরুষের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।

পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে কেনাকাটা করতে এসে কথা হয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল সালামের সাথে। তিনি বলেন, পুরো পরিবার নিয়ে মার্কেটে এসেছি। নাতি-নাতনি, ছেলের বউ ও মেয়ে আসছে সাথে। সবার জন্য কেনাকাটা করা হবে।

শপিং মলের পোশাক বিক্রেতারা বলছেন, প্রথম রোজা থেকে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে। ঝামেলা না পোহাতে আগেই ক্রেতারা গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পোশাক কেনাকাটা শুরু করেছেন।

ম্যানয়্যাভার বাংলাদেশ-এর ম্যানেজার ইমরান বলেন, কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। গত দু’বছর ধরে লোকসান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। এবার কেনাবেচা ও ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।

জেইউ/জেএইচ/পিআর