মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ২২ রমজানের (১৮ জুন) মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক ও দোকান কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি করেছে শ্রমিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
Advertisement
জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ১৮ জুনের (২২ রমজান) মধ্যে সারাদেশে ৪২ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক এবং ১০টি খাতের ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর ঈদ বোনাস ও বেতন পরিশোধের দাবি করা হয়।
১০টি খাত হলো- দোকান, শপিংমল, চেইনশপ, ডিপার্মেন্টাল স্টোর, রিটেইলশপ, হোলসেল, ইলেকট্রিক দোকান, সেলুন, বিউটি পার্লার ও ওষধের ফার্মেসি।
সংগঠনের নেতারা বলেন, বর্তমানে শ্রম আইনের যে ‘শ্রম বিধিমালা’ ২০১৫ সালে প্রণীত হয়েছে। সেখানে শ্রমিক কর্মচারীদের ঈদ বোনাসের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন ঈদ বোনাস নিয়ে তালবাহানার কোনো সুযোগ নেই। তাই গার্মেন্টস শ্রমিক ও দোকান কর্মচারীদের একমাসের সমপরিমাণ টাকা ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে।
Advertisement
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছরই হাতেগোনা কিছু মালিক ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে নানা তালবাহানা করেন। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অমানবিক অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। এ বছর এসব ঘটনা যেন না ঘটে, এ বিষয়ে সরকার ও বিজিএমইএ-সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সজাগ থাকার অনুরোধ করছি।
জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, ইউনি বাংলাদেশ কাউন্সিলের নির্বাহী সম্পাদক এবং সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা হুমায়রাসহ বিভিন্ন শ্রমিক ও কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/আরএস/পিআর
Advertisement